বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

ট্রেনের টিকিট নিয়ে প্রতারণার শিকার ৯ পর্যটক

ট্রেনের টিকিট নিয়ে প্রতারণার শিকার ৯ পর্যটক

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ছবি সংগ্রহীত।

 

কক্সবাজার থেকে ফিরতে অন্যের সহযোগিতায় ট্রেনের টিকিট কেটে প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভুক্তভোগী ৯ পর্যটক বাড়ি ফিরতে না পেরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ওই পর্যটকরা গাজীপুরের টঙ্গীর বাসিন্দা বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী পর্যটকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে ট্রেনে তারা কক্সবাজারে আসেন। ভ্রমণের সময় রেলের নিরাপত্তায় থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। তার কাছে ফিরতি ট্রেনের টিকিট পাওয়ার সহযোগিতা চাইলে তিনি টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন। রোববার রাত ১১টার দিকে রেলস্টেশনে আসেন তারা। তারা ভেবেছিলেন রাত ১২টায় ট্রেন। কিন্তু ট্রেন আসেনি। পরে জানতে পারেন কক্সবাজার থেকে রাত ১২টায় কোনো ট্রেন ছাড়ে না। ফলে রাতভর স্টেশনে কাটাতে হয়েছে তাদের।

মোহাম্মদ লালচান বাদশা নামের এক পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, ৬৯৫ টাকার টিকিট ১২৫০ টাকা নিয়েছে বায়েজিদ। টিকিটে তারিখ উল্লেখ থাকলেও সময়ের জায়গাটা অস্পষ্ট ছিল। বায়েজিদ আমাদের রাত ১২টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে আসতে বলেন। এসে দেখি ট্রেন নেই। ওই ব্যক্তিকে আনসার সদস্য বলে দাবি করেন তিনি।

আরেক পর্যটক রিয়াদ হাসান রাসেল বলেন, ট্রেনে ফিরব বলে হাতে থাকা টাকা দিয়ে অনেক পণ্য ক্রয় করেছি। তা ছাড়া টাকা ব্যবস্থা করতে পারলেও এত রাতে ঢাকা ফেরার গাড়িও পাওয়া যায় না। তাই ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কষ্ট পেতে হয়েছে আমাদের।

অভিযুক্ত বায়েজিদও নিজেকে আনসার সদস্য দাবি করেন। তিনি বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) থেকে টিকিট নিয়ে তাদের দিয়েছি। ট্রেনটি রাতে নয়, দিনের সাড়ে ১২টায় ছাড়ে। পর্যটকরা সময় বোঝেনি, এতে আমার অপরাধ কি? টিকিটের অতিরিক্ত দামে নেওয়ার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের রেল মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের একটি ট্রেন দুপুর সাড়ে ১২টায়, আরেকটি রাত ৮টায় ছাড়ে। রাত ১২টায় কোনো ট্রেন নেই।

তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি করার সুযোগ নেই। যদি কেউ অসাধু উপায়ে এ রকম করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী রেলস্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান বলেন, এটি পর্যটকদের অজ্ঞতা। তারা কার কাছ থেকে টিকিট নিচ্ছেন, কক্সবাজার থেকে কতটি ট্রেন ছাড়ে, তার সময় কখন; এসব জানা দরকার। যার কারণে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, রেলস্টেশনে কোনো আনসার সদস্য কাজ করে না। শুধু আরএনবি সদস্য রয়েছেন। তারপরও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM