বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার টেকনাফে সিনহা হত্যা মামলার তিন স্বাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় র্যাব। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাক্ষীর পরিবারকে জোর করে থানায় নিয়ে গিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা দায়ের করেন টেকনাফ থানার ওসি আবুল ফয়সাল।
মঙ্গলবার ১০ আগস্ট দুপুরে টেকনাফ বাহারছড়া এলাকা থেকে নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোঃ আয়াছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
জানা যায়, সিনহা নিহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় স্বাক্ষী দেখানো হয় নুরুল আমিন, নিজাম ও মোঃ আয়াছকে। কিন্তু গণমাধ্যমকে তারা জানান সিনহা নিহতের ঘটনা তারা চোখেও দেখেননি কানও শুনেননি তবুও ওসি প্রদীপ জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে স্বাক্ষী বানান তাদেরকে। ঘটনার তদন্ত করতে ১০ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে নিয়ে যায় র্যাব।পরে মঙ্গলবার ১১ আগস্ট কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বুধবার ১২ আগস্ট রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
নিজাম উদ্দিন নাজুর স্ত্রী শাহেদা বেগম গণমাধ্যমে জানান, স্বামীকে নিয়ে যাওযার পরে টেকনাফ থানার একটি দল রাত ২টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় মেম্বার নিয়ে লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। তার স্বামীর অপহরণের কথা জানিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করেন শাহেদা বেগমকে। থানায় যেতে অনীহা প্রকাশ করলে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। পরে রাত তিনটায় আবার এসে নোটিশের কথা উল্লেখ করে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যায়।
নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগম জানান, তার ছেলেকে সাদা পোশাকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভোর রাতে পুলিশ এসে ওসির কথা বলে টেনে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে দুইটি সাদা কাগজে টিপ সই নেন পুলিশ।পুলিশ কর্মকর্তা বলেন তুর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে যদি তুর ছেলেকে দেখতে চাস মামলা কর, না করলে তুর ছেলের লাশ দেখবি।
এরপর সাদা পোশাকে তিন স্বাক্ষীকে অপরহণ করা হয়েছে দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলার এজহারে স্বাক্ষর করেন সদ্য যোগ দেওয়া টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল ফয়সাল।
এ বিষয়ে জানতে জানার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারকে ফোন দেওয়ার পরেও কেউ রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
মন্তব্য করুন