গিবত করে বিকৃত মানসিক আনন্দ পাওয়া যায়। একজন মানুষের পেছনে তার দোষগুলো বলতে কী যে ভালো লাগে! গিবত ছাড়া আড্ডা যেন জমেই না। পারিবারিক ক্ষেত্রে সবাই মিলে খাওয়ার সময় গিবত যেন নিত্যসঙ্গী। গিবত করার সময় মনে থাকে না, একদিন এ গিবতের কারণে প্রিয়জনের সঙ্গে মধুর সম্পর্কটি নষ্ট হয়ে যায়।
গিবত কি কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে? মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা একে অন্যের গিবত করো না, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করে?’ (সূরা হুজুরাত : ১২)।
গিবত করার সময় গিবতকারী আত্মতৃপ্তি লাভ করে, মনে হয় কত প্রয়োজনীয় কথা বলা হলো। অলস দুপুরে অথবা বিকালের আড্ডায় গিবত এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। পারিবারিক অবক্ষয়ের জমজমাট উপাদানে ভরপুর হিন্দি সিরিয়ালগুলো এক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে।
গিবত করে কী লাভ হয়? মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, আজ আপনি যার গিবত শুনছেন, সে পরে আপনার পেছনে আপনাকে নিয়েই গিবত করবে। তাই সামাজিক জীব হিসেবেই মানুষের গিবত থেকে বেঁচে থাকা উচিত। আর একজন মুসলমান হিসেবে গিবত করার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
মন্তব্য করুন