বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

কুকুরও যখন শরণার্থী!

কুকুরও যখন শরণার্থী!

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥

ধর্মোন্মাদ আইসিস বাহিনীর নৃশংস তাণ্ডবের শিকার হয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে সিরিয়া ও ইরাক থেকে দলে দলে পালাচ্ছে যুদ্ধক্লান্ত বিপন্ন মানুষ। পায়ে হেঁটে সীমান্ত পেরিয়ে, ছোট্ট নৌকায়-ভেলায় চড়ে তারা পাড়ি জমাচ্ছে ইউরোপের দেশে দেশে। একের পর এক শরণার্থীর দল যেন বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে গোটা ইউরোপে। তাতে নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপীয় সরকারগুলো। লাখো লাখো শরণার্থীর ঢলকে কীভাবে সামাল দেওয়া যায় এই চিন্তায় তারা এখন দিশেহারা।

এরই মধ্যে জার্মানি, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়াসহ ইউরোপের দেশগুলো আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে তাদের সীমান্ত। কিন্তু তাতেও থামছে না শরণার্থীদের ঢল। এবার মানব-শরণার্থীদের সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি কুকুরও। সেও তার মনিবের সঙ্গে যোজন যোজন পথ পাড়ি দিয়ে হাজির হয়েছে ইউরোপে।

সহায় সম্পত্তি বাড়িঘর জায়গা-জমি পেছনে ফেলে এসেছে ওরা– স্রেফ ঝোলায় ভরে যা কিছু নেওয়া যায় তা নিয়ে। কিন্তু একটি সিরীয় পরিবার পারেনি তাদের প্রিয় কুকুরটাকে ফেলে আসতে। তারা ওকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। সুদূর দামেস্ক থেকে লোমশদেহী বাচ্চা কুকুরটা পরিবারটির সঙ্গে এসেছে ক্রোয়েশিয়ায়।

লুস নামের আদুরে কুকুরটাকে ফেলে আসতে মন মানছিল না মোহাম্মদ মুরাসিন ও সাফা হোসাইনের। তারা তাদের দুজন বন্ধুর সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় ভাবলেন, ‘ওকেও সঙ্গে নিয়ে যাই’। যে কথা সেই কাজ। কুকুরছানাটিও এখন ক্রোয়েশিয়ার তোবারনিক শহরের রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছে মনিবের সঙ্গে হাঙ্গেরিগামী ট্রেনে চড়ার জন্য।

সাফা হোসাইন একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সঙ্গে কুকুর থাকায় বিভিন্ন দেশের সীমান্তে তাদের বারংবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবু তারা ওকে ফেলে আসেননি কোথাও।

সঙ্গে কুকুর নিয়ে আসার কারণে কোনো কোনো দেশের সীমান্তে শাস্তি হিসেবে তাদের অন্য শরণার্থীদের থেকে আলাদা করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে।

মোহাম্মদ মুরাসিন ও সাফা হোসাইনের আশা, তারা প্রিয় কুকুর লুসকে নিয়েই স্বপ্নের দেশ জার্মানিতে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করবেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM