বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
ওয়াহিদুর রহমান রুবেল:
উপস্থিত থাকার পরও ফলাফল না পাওয়ায় অনিশ্চয়তা শতাধিক পরিক্ষার্থীর ভবিষ্যত। সদস্য ঘোষিত অনার্স পরিক্ষার ফলাফলে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের অর্ধশত শিক্ষার্থীর ফলাফল অনুপস্থিত দেখিয়ে স্থগিত রেখেছে জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক কতৃপক্ষ। এতে এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কতৃপক্ষের চরম উদাসিনায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সচেতন মহল। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্থগিত ফলাফল শিক্ষার্থীরা পাবে বলে জানিয়েছেন পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক।
জানা যায়, চলতি মাসের ৪ আগস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথম বর্ষের (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) পরীক্ষার ফলাফল অনেক পরিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে প্রকাশ করা হয়।
সদ্য ঘোষিত উক্ত পরিক্ষায় সমগ্র দেশের ন্যায় কক্সবাজারেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীদের ফলাফল অনুপস্থিত দেখিয়ে স্থগিত রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি তারা প্রতিটি পরিক্ষায় উপস্থিত থাকার পরও অনুপস্থিত দেখিয়ে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। আদৌ ফলাফল পাবে কিনা তা নিয়ে সংঞ্চয় দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফল প্রার্থী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বেশ ভালো পরীক্ষা দেয়ার পর পরীক্ষায় খারাপ করার কথা নয়। কিন্তু কেন ও কী কারণে আমার ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে না কেউ।’‘‘ফোন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শুধু বলছেন- ‘আমরা দু:খিত’।
তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আবার ফলাফল জানতে পারবে বলে জানিয়েছেন পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান।
এদিকে এ পরিক্ষার ফলাফল নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। নতুন করে ফেল ফলাফল প্রকাশ করে তারা। কিন্তু ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীদের ভাগ্যে আর শিকেয় ছিঁড়েনি। উল্টো যাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিলো তাদের পয়েন্ট বেড়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন দ্বিতীয় বর্ষে আছি। কিন্তু প্রথম বর্ষের ফলাফল পাইনি। কোন সাবজেক্টে আমাদের ইমপ্রোভ দিতে হবে তাও বুঝে উঠতে পারছি না। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ইয়ার লসের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে বলে জানান তারা।
জানা যায়, ইতিমধ্যে স্থগিত পরিক্ষার্থীদের মধ্যে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ১৬ জন, চকরিয়া কলেজের ৩জন, কক্সবাজার সিটি কলেজের ৪জন পরিক্ষার্থী নতুন করে ফলাফলের আবেদন করেছেন।
কক্সবাজার সরকারী কলেজা অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী জানান, অদক্ষ লোক দিয়ে কাজ করার ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, পরিক্ষায় অংশ নেয়া হাজিরা খাতা নিয়ে আবেদন করে সমস্যার সমধান করতে হবে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ৬ তারিখ অনার্স পরিক্ষা শরু হয়।
মন্তব্য করুন