শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

হজের বিভিন্ন আমলের ফজিলত- ০৬ আরাফার ময়দানে অবস্থানের ফজিলত

হজের বিভিন্ন আমলের ফজিলত- ০৬ আরাফার ময়দানে অবস্থানের ফজিলত

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজর ডেক্স॥

পবিত্র হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় অবস্থানরত হাজি সাহেবরা এখন মিনায় অবস্থান করছেন। আজ সারাদিন তারা এখানে থাকবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে তারা মিনা, আরাফার ময়দান ও মুজদালিফায় অবস্থান করবেন।

বিধানমতে আজ (৮ জিলহজ) মিনায় সারা দিন থেকে আগামীকাল (৯ জিলহজ) ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফার ময়দানে গিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন তারা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন তারা। মিনায় বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাঈ করবেন। তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।

আরাফায় অবস্থানের ফজিলত
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনোদিনই এমন নেই, যেদিন আল্লাহতায়ালা আরাফার দিনের চেয়েও অধিক সংখ্যক বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তিদান করেন। আর তিনি তাদের নিকটবর্তী হন। এরপর ফেরেশতাদের সঙ্গে তাদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, কী চায় এরা? -সহিহ মুসলিম

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহতায়ালা ফেরেশতাদের সঙ্গে আহলে আরাফাকে নিয়ে গর্ব করেন এবং বলেন, আমার এইসব বান্দাকে দেখ, কেমন উস্কোখুস্কো চুলে, ধূলিমলিন হয়ে আমার কাছে এসেছে। -মুসনাদে আহমদ

আরাফার দিনে দোয়ার ফজিলত
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আরাফা দিবসের শ্রেষ্ঠ দোয়া এবং আমি ও পূর্ববর্তী নবীরা যা বলেছিল তার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া হলো, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ -জামে তিরমিজি

জামরায় রমির (শয়তানকে পাথর মারা) ফজিলত
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তুমি জামরায় রমি করলে তা তোমার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে। -বাযযার

হাদি (কোরবানির পশুকে হাদি বলে) নিয়ে যাওয়া ও কোরবানি করার ফজিলত
হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, উত্তম হজ কী? তিনি বললেন, উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা ও পশু কোরবানি করা। -জামে তিরমিজি

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, …আর তুমি কোরবানি করলে তা তোমার প্রতিপালকের নিকট সঞ্চিত থাকবে। -বাযযার

হজ থেকে হালাল হওয়ার জন্য হলক ও চুল কাটার ফজিলত
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যারা চুল কাটবে তাদের? তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম আবার আরজ করলেন, যারা চুল কাটবে তাদের? তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম তৃতীয়বার আরজ করলে তিনি বললেন, আর যারা চুল কাটবে তাদেরকেও। -সহিহ বোখারি

সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈর ফজিলত
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই সাফা-মারওয়া আল্লাহর দুটি নিদর্শন।… -সূরা  আল বাকারা: ১২৮

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, …আর সাফা-মারওয়ায় তোমার সাঈ করা। তা তো ৭০ জন দাস মুক্ত করার সমতুল্য। -ইবনে হিব্বান


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM