বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

২৪০০ প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে অভিযান রবিবার থেকে

২৪০০ প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে অভিযান রবিবার থেকে

অনলাইন বিজ্ঞাপন

শিক্ষা ডেক্স:

অবশেষে রাজধানীতে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২৪ জুলাই রবিবার গুলশান, উত্তরা, বনানী ও ধানমণ্ডি এলাকায় একযোগে শুরু হবে অভিযান। এরই মধ্যে রাজউক দুই হাজার ৪০০ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছে। এর মধ্যে গুলশান-বারিধারা এলাকায় রয়েছে ৫৫২টি। এ ছাড়া একই ইস্যুতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও সব ইউটিলিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নোটিশ দিতে শুরু করেছে। এখন থেকে আবাসিক এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স না দেওয়া এবং বিদ্যমান লাইসেন্সগুলোর নবায়ন বন্ধ ও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানতে চাইলে গত রাতে রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা যেসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে ২৪ জুলাই অভিযান শুরু করব। প্রথমে আমাদের (রাজউক) পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হবে। পরে পুরো রাজউকের সীমানা ধরে অভিযান চলবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটি বাসযোগ্য আবাসিক এলাকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সারা দেশে আবাসিক এলাকায় থাকা ১২ হাজার ৯৫৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছে সরকার। সে সঙ্গে আবাসিক এলাকায় থাকা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং এসব এলাকায় নতুন করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে লাইসেন্স  না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকা থেকে সংশ্লিষ্ট অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানা যায়। গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে ‘নগর এলাকার রাস্তার পাশে আবাসিক প্লট ও ভবনে রেস্তোরাঁ-বারসহ নানাবিধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনাজনিত সমস্যা নিরসনে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ক’ কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) জ্যোতির্ময় দত্ত, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) আসমাউল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) শেখ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থার প্রতিনিধি। সভায় জানানো হয়, রাজধানীতে ডিএনসিসি তিন হাজার ১৫, ডিএসসিসি এক হাজার ১৩৭, রাজউক দুই হাজার ৪০০টি অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি (ডেসকো) পাঁচ হাজার ৫৩৪, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ১১২, ফায়ার সার্ভিস ১৩, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৫১টি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকার ৩৪টি চার ও পাঁচতারা হোটেলের বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় খোঁজখবর নিচ্ছে। এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশন ২৬, গাজীপুর ৩৭৬, কুমিল্লা ৪০, চট্টগ্রাম ১৫০, বরিশাল ৫৮, সিলেট ২৬ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পাঁচটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছে। সভার শুরুতে স্থানীয় সরকার সচিব মালেক বলেন, ‘শুধু গুলশান নয়, সব বিষয়ই আমরা অ্যাড্রেস করব। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অপরিহার্য ও কর্তব্য। আমরা ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে চাই।’ রাজধানীসহ শহর এলাকায় আবাসিক প্লট ও ভবন থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে গত ৪ এপ্রিল ছয় মাস সময় বেঁধে দেয় মন্ত্রিসভা। এ সময়ে বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো না সরালে সেগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। তবে এরপর উচ্ছেদকাজ মন্থর হয়ে পড়ে। কিন্তু সম্প্রতি  গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর সরকারের ওপর মহল থেকে কঠোর নির্দেশনা আসে। অবশেষে রাজউক, দুই সিটি করপোরেশন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, তিতাস, ডিপিডিসি, ডেসকো, বিটিসিএল, পরিবেশ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা একযোগে মাঠে নেমেছে। এরই মধ্যে গুলশান-বারিধারা, বনানী, উত্তরা ও ধানমণ্ডিতে অনেক বড় বড় অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর মালিক দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সূত্র-কালেরকণ্ঠ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM