মঙ্গলবার নতুন কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশে আইনজীবীদের তদারককারী কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে বাসেত মজুমদার নির্বাচিত হন।
১৫ সদস্যের কাউন্সিলের প্রথম সভায় অনুপস্থিত ব্যারিস্টার আমীর রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কোন্দলের কারণে গতবার বার কাউন্সিলের কর্তৃত্ব বিএনপি সমর্থকদের কাছে হারানোর পর এবার ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করে ফিরিয়ে আনেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
তবে ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ে মনকষাকষি থেকে আমীরের পদত্যাগের ঘোষণায় আবার বিভেদের রেখা স্পষ্ট করল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল (সোমবার) আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে এক সভায় আমাকে ভাইস চেয়ারম্যান করার সিন্ধান্ত হয়। এ সময় আইনমন্ত্রী তাকে (সাহারা খাতুন) টেলিফোনে বলেন, ‘যিনি বেশি ভোট পেয়েছেন, তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হবেন’।
“বার কাউন্সিলের উষালগ্ন থেকেই যিনি প্যানেলের নেতৃত্বে থাকেন তিনিই ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে আসছেন, এটা প্রচলিত রীতি। এ অবস্থায় আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য চিঠিও পাঠিয়েছি।”
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল থেকে বাসেত মজুমদার ১৫ হাজার ১০৯ ভোট পেয়েছিলেন, আমীর-উল ইসলাম পান ১৪ হাজার ৪৩ ভোট।
গত অগাস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই দুজনের নাম ঘুরেফিরে আসছিল।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই দুজনই বার কাউন্সিলে এর আগে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দুজনই ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
তবে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের বিভক্তির সময় এই দুজন দুটি ধারার নেতৃত্বে ছিলেন। তখন আলাদা কমিটিও গঠিত হয়েছিল, পরে দলীয় উদ্যোগে সমঝোতা হয়।
এবারের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। গত বারের নিয়ন্ত্রক বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা এবার তিনটি পদ পেয়েছে।
কাউন্সিলের বাকি এক সদস্য হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি পদাধিকার বলে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন