রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥
টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে স্বশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত দল হানা দিয়েছে। এতে দশজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৩ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর ভোররাত পৌনে দুইটার দিকে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ডি-ব্লকের ১৬৩নং রোমের ইউনুছের পুত্র তৈয়ব (২৬), মোঃ ইউছুপের পুত্র মোঃ কাছিম (৪০) ই-ব্লকের ১৭৮নং রোমের মিয়া হোছনের পুত্র শব্বির (৩০), ডি-ব্লকের ১২০নং রোমের আব্দুল্লাহর পুত্র মোঃ হোছাইন (১৭), সি-ব্লকের ২৯৭নং রোমের ফয়েজুর রহমানের পুত্র আজিজুর রহমান (৪৫), ডি-ব্লকের ৮৭নং রোমের মনির উল্লাহর পুত্র জামাল (৩০), ৬৩নং রোমের ছৈয়দুর পুত্র বশির (৩৫), ই-ব্লকের ২৪০নং রোমের মোঃ শফির পুত্র মোঃ উল্লাহ (১৫), ২৪৫নং রোমের মোঃ কাশেমের পুত্র মুহিবুল্লাহ (২৫),এ-ব্লকের ২৭নং রোমের ইমাম হোছনের পুত্র মোঃ সালাম (২৬),বি-ব্লকের ৩১১নং রোমের কালা মিয়ার পুত্র শামসুল আলম (৩৫)।
এ ছাড়া ডাকাতির ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ ১০জনকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউটে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
রোহিঙ্গা বস্তির বাসিন্দারা জানায়, ২০/২৫জনের একদল স্বশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত দল এসে ই-ব্লকের সুপারী বিক্রেতা আব্দুর রহমানের বাড়িতে লুটপাট করার সময় হৈ চৈ পড়ে যায়। লোকজন জানতে পেরে বস্তিতে অবস্থানকারী পুলিশের সহায়তায় দলবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করলে দূর্বৃত্ত দল পর পর আনুমানিক ১০/১২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে পিছু হঠতে থাকে। এতে দূর্বৃত্ত ডাকাত দলের ছোঁড়া গুলিতে দশজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়।
সাধারণ রোহিঙ্গারা ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পাশ্ববর্তী গ্রামের চিহ্নিত স্বশস্ত্র অপরাধীরা এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
এত বড় ঘটনার পর সাধারণ রোহিঙ্গারা চরম আতংকে রয়েছে বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানান।
টেকনাফ মডেল থানা টহল পুলিশের এএসআই খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার ব্যাপারে কোন ধরনের মন্তব্য করেনি।
মন্তব্য করুন