বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

সাফারি পার্কের সামনে ফের জমে উঠেছে দেহ ব্যবসা

সাফারি পার্কের সামনে ফের জমে উঠেছে দেহ ব্যবসা

অনলাইন বিজ্ঞাপন

চকরিয়া প্রতিনিধি::
safaচকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান গেইটের প্রবেশ পথে গড়ে তোলা ব্যক্তি মালিকানাধীন মিনি পতিতালয় খ্যাত কটেজগুলো পুলিশের অভিযানে উচ্ছেদের পর, এবার সামনে তালা দিয়ে পেছনে খোলা রেখে পুণরায় জমিয়ে তুলেছে জমজমাট দেহ ব্যবসা। সম্প্রতি কটেজ গুলোতে দেহ ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ষার্থে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নের্তৃত্বে গত কয়েকমাস আগে কটেজগুলোর কিছু অংশ ভাংচুর করে এসব কটেজ উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু সুচতুর অসাধু কটেজ মালিকরা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখকে ফাঁকি দিয়ে অনৈতিক এ ব্যবসা ফের চালিয়ে আসলেও দেখার কেউ নেই বললেও চলে। বর্তমানে সিন্ডিকেল একদল দালালদের মাধ্যমে কক্সবাজার, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়াটে দেহ ব্যবসায়ী মহিলাদের জড়ো করে দিব্যি এ অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এছাড়া স্কুল কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতারক প্রেমিকের পাল্লায় পড়ে এসব কটেজে অতিথি হয়ে অনৈতিক জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা পিতা-মাতার অগোচরে প্রেমিকের সাথে সাফারি পার্ক দর্শনের বাহানায় এসে এসব কটেজে প্রবেশ করে সব কিছু হারাচ্ছে এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভোগের সামগ্রীতে পরিণত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কটেজগুলোতে ইচ্ছাকৃত ভাবে অতিথি হচ্ছেন বিদেশ প্রবাসীদের স্ত্রী-সন্তানরাও।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, এসব কটেজগুলোতে জমে উঠেছে অনৈতিক কর্মকান্ডের জমজমাট বাজার। চকরিয়া থানা পুলিশের দফায় দফায় অভিযানে এসব কটেজগুলো থেকে শতশত জোড়া প্রেমিক যুগল নামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ বিদেশ প্রবাসীর অনেকের স্ত্রীকে আটক করলেও কটেজ মালিকদের গ্রেফতার না করায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মহাসড়ক পেরিয়ে পার্কের প্রধান গেইট অতিক্রম করে একটু ভেতরে গেলে এসব কটেজের অবস্থান। কটেজগুলোর বাহিরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অপেক্ষামান থাকে যুবক বয়সের দালাল প্রকৃতির লোক। তারা পার্কে আসা যুবক-যুবতীকে দেখলেই বলে, আসেন আরামের ভাল জায়গা আছে, আসেন একটু আরাম করে যান। নরম দেহের জমজমাট গরম ব্যবসা চললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সুযোগ বুঝেই প্রবাসীর স্ত্রী, কন্যা, স্কুল কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনীর প্রেমিক যুগল এসব কটেজে প্রবেশ করে প্রতিদিন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। সাফারী পার্ক গেউটের অবস্থিত মোট ৫টি কটেজে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক রুম (কক্ষ) রয়েছে। একটি রুম প্রতি ঘন্টায় ভাড়া এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত।
এলাকাবাসীর দাবি, কটেজ গুলোর কারনে এলাকায় দেহ ব্যবসা বেড়ে যাচ্ছে। এসব কটেজ গুলো বন্ধ না হলে আমাদের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও বিদেশ প্রবাসীদের স্ত্রী, কন্যাদেরকে অনৈতিক কাজ থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাড়াঁবে।
সচেতন এলাকাবাসী এসব অসাধু কটেজ মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের গোয়েন্দা ও চকরিয়া থানা পুলিশসহ সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM