শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন

‘মোসাদ সংশ্লিষ্টতা ও বৈঠকের কথা স্বীকার আসলাম চৌধুরীর’

‘মোসাদ সংশ্লিষ্টতা ও বৈঠকের কথা স্বীকার আসলাম চৌধুরীর’

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স:

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা  মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। সরকার উৎখাতে মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের কথাও স্বীকার করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে এ দাবি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ডিবির রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেছেন আসলাম চৌধুরী।

আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সপক্ষে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেন মনিরুল ইসলাম।

গত ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। এরপর আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের এবং মতিঝিল ও লালবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া ৫৪ ধারার মামলা রয়েছে আসলাম-আসাদের বিরুদ্ধে।

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। এর আগে একই মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি। আর ৫৪ ধারায় আসলাম-আসাদকে রিমান্ডে নিয়ে আরও সাতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ডিবি’র রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক কিছু্ই স্বীকার করেছেন আসলাম চৌধুরী। কাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, বৈঠকে কি বিষয়ে কথা হয়েছে, কারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বৈঠকের মাধ্যমে কারা লাভবান হয়েছেন- এসব কথা জানিয়েছেন।

বৈঠক করতে যারা তাকে উৎসাহিত করেছেন, তাদের নামও বলেছেন আসলাম চৌধুরী। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। যদি তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে বিব্রত করা ও অজনপ্রিয় করতেই সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হচ্ছে। এতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে।

‘গ্রামের দর্জি, ভ্যানচালকদের হত্যা করার পেছনে কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে? উদ্দেশ্য একটাই সরকারকে বিব্রতকর করা। এটাই বোঝানো যে, সরকার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পারছে না’।

আসলাম চৌধুরী ও মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে ভারতে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির‌্যাতন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দু’টি ঘটনার মধ্যে মিলের জায়গাটি এখানেই। সে কারণেই আমরা বলছি যে, মেন্দি এন সাফাদি একজন ইসরাইলি নাগরিক। এবং সাইট ইন্টেলিজেন্স সাইটটি পরিচালনা করেন রিটা ক্যার্স নামে একজন। রিটার সঙ্গে ইসরাইলের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সূত্র-বাংলানিউজ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM