যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন- বেসরকারি পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালের সার্জন ডা. কাজল রেখা রানী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. দেবাশীষ তালুকদার এবং পেশেন্ট কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল জব্বার।
তাদের বিরুদ্ধে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৪ (ক) ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আজহারুল হক জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।”
প্রসব বেদনা নিয়ে গত ২ জুন রাতে নগরীর কে বি ফজলুল কাদের সড়কে বেসরকারি পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন নোয়াখালীর সহকারী জেলা জজ মোরশেদুল আলমের স্ত্রী সায়মা শিকদার (২২)।
রাত ২টায় অস্ত্রোপচারে সায়মার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপর রাতে আর সায়মাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়নি এবং অস্ত্রোপচারের পর তার জ্ঞান ফেরেনি বলে স্বজনদের অভিযোগ।
পরদিন সকাল ৭টার দিকে সায়মা শিকদারকে নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা।
“এক ঘণ্টা আগেই রোগীর মৃত্যু হওয়ায় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর ভর্তি করায়নি। এটি সেই হাসপাতালের কাগজপত্রেও উল্লেখ আছে,” বলেন আইনজীবী আজহারুল।
এ ঘটনায় সায়মার মা নারগিস আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অস্ত্রোপচারকারী কাজল রেখার সঙ্গে সায়মাকে অ্যানেসথেশিয়া দেওয়া ডা. দেবাশীষকে আসামি করা হয়।
নগরীর নয়াহাট এলাকার এমদাদ উল্লাহর মেয়ে সায়মা চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে সমাজতত্ত্ব বিভাগে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়তেন।
সূত্র-বিডিনিউজ
মন্তব্য করুন