বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

টেকনাফে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জন জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে

টেকনাফে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জন জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ 

টেকনাফে প্রচন্ড গরমে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জন জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এলাকায় দেখা দিয়েছে আমশা, ডাইরিয়া, নেমোনিয়া রোগের প্রকোপ। দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। বর্তমানে টেকনাফের জনগনের জীবনের উপর নেমে এসেছে প্রচন্ড আঘাত। এক দিকে গরম আর লোডশেডিং অন্যদিকে পানির তীব্র সংকট।

টেকনাফে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, খাবার পানির তীব্র সংকট। মাইলের পর মাইল পাড়িঁ দিয়ে পানি সংগ্রহ করছে। অপরদিকে যাদের পানির ব্যবস্থা রয়েছে তারা বিদ্যুতের অভাবে পানি উঠাতে পারছেনা। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং চলছে। অন্ধকারে ঢাকা পড়েছে গোটা এলাকা। চাহিদা মত বিদ্যুত না পাওয়ায় বিদ্যুত চালিত যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে চলেছে। বিদ্যুতের অভাবের কারনে ব্যবসা, বাণিজ্য, অফিস, আদালত ও ব্যাংক-বীমায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। এর ফলে সরকারী রাজস্বের সূচক দিন দিন নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। পচেঁ যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা হিমায়িত দ্রব্য। টেকনাফে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা হচ্ছে ১০মেগা ওয়ার্ড। তার স্থলে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র আড়াই মেগাওয়ার্ড। গ্রাহক রয়েছে প্রায় ২২হাজারের উর্ধে। একটি ফিডার চালু করলে বন্ধ থাকে ৩টি ফিডার।

ফলে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং অবসানের কোন উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল ম্যানেজার বলাই মিত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে. তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে, আমার করার কিছুই নেই। আমাদেরকে ১০মেগাওয়ার্ডের স্থলে দেওয়া হচ্ছে আড়াই মেগাওয়ার্ড। ইহার মাধ্যমে জোড়া তালি দিয়ে বিদ্যুৎ আয়ন করছি। এতে চাহিদার তুলনায় সিকি ভাগও পূরণ হচ্ছেনা। কবে নাগাদ এ লোডশেডিং এর অবসান হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেকনাফে সাবরাং খুরের মূখে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। সে জন্য সরকার জমি অধিগ্রহন করেছে। সেখানে বিদ্যুতের একটি সাব -ষ্টেশন হবে। তাহলে টেকনাফের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে। কিন্তু এ কাজ সমাপ্ত করতে অনক সময়ের প্রয়োজন। এ দিকে বিদ্যুতের অভাবে টেকনাফে বিভিন্ন এলাকায় গরমের কারনে দেখা দিয়েছে গরম জনিত মহামারী।

আমশা, ডায়রিয়া ও নিমোনিয়া সহ বিভিন্ন রোগ। এখানে বেশী ভাগ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ। হাসপাতালে এসমস্ত রোগীদের প্রচন্ড ভিড় দেখা যায়। টেকনাফের বাসিন্দা রহমত, এনায়ত, আবুল বশর ও হোছন আহম্মদ সহ অনেকেই ক্ষোভের সাথে জানায়, আমাদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। টেকনাফ উপজেলাটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা। একদিকে সীমান্ত, পর্যটন ও বাণিজ্যিক উপ-শহর। এখানে সারা বছর দেশী-বিদেশী পর্যটক আসে। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলে যে, আপনাদের এলাকার এমপি কি এ ব্যাপারে মাথা ঘামাইনা। তিনি চাইলে তার এলাকার জন্য চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ বরাদ্দ নিয়ে আসতে পারে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM