বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
ওয়াহিদুর রহমান রুবেল:
১৭ মার্চ একটি দিন। তবে এটি বাঙ্গালী জাতীর জন্য এক অবিস্বরণীয় দিন। যেদিনটিতে জন্ম নিয়েছেল একটি শিশু। যে দিনটিতে মনে হয় চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রের শুভ দৃষ্টি পড়েছিল বাংলার মাটিতে। কে জানত এ শিশুটি একদিন একটি ইতিহাসের জন্ম দেবে। ৭ কোটি মানুষের হৃদয়ের নায়ক হবে। ইতিহাসের পথে না হেঁটে নিত্য নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে জন্ম দিবে এক একটি অধ্যায়। যে মানুষটি হাজার বছরের গ্লানি মুছে ফেলে সবার মাথা উঁচু করে দেবেন। দেশের বিচ্ছিন্ন সব শক্তিকে এক জায়গায় সংগত করে অবজ্ঞার পাত্র জনসাধারণকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান করে দুরূহ অথচ অসাধ্য নয় এমন সুবিপুল এক আয়োজন সম্পন্ন করবেন। সাধারণ পরিবারের অসাধারণ সন্তান হলেও দারুণ এক সাহসী মানুষ ছিলেন তিনি। সেই সাহস তিনি আগুনের পরশমণির মতো সবার মাঝ ছড়িযে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। যে মানুষটি আজীবন ছুটে বেড়িয়েছেন স্বদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত। তবে তিনিও মানুষ। তাই কারো কাছে তিনি হিংসার পাত্র, কারো কাছে ঘোর শত্রু আবার কারো কাছে স্বপ্নের স¤্রাট। তবে সাধারণের হৃদয় জুড়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
জন্ম: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন বৃটিশ ভারতে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার কোটালী পড়া থানার পাটগতি ইউনিয়নে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান ও মাতার নাম সায়রা বেগম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় সন্তান ছিলেন। পিতা সিভিল কোর্টের সেরেস্তাদার ছিলেন।
শিক্ষা জীবন: ১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে নিজ বাড়ির গিমাডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুলে ভির্তি হন। ৯ বছর বয়সে পিতার কর্মস্থল গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। এছাড়া স্থানীয় মিশনারী স্কুলেও তিনি পড়াশুনা করেছেন।
বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত: ১৯৩৪ সালে বাবার কর্মস্থল মাদারী পুরে ১৪ বছর বয়সে আষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নের সময় তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। একারণে তাঁর পড়াশুনা সাময়িকভাবে ব্যহত হয়। পরে ১৯৩৭ সালে পুনরায় তিনি অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা শুরু করেন।
বিয়ের বয়স: মাত্র ১৮ বছর বয়সে চাচাতো বোন ফজিলাতুন নেসার সাথে আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহনা। তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাশেল। কন্যা ছাড়া ১৯৭৫ সালে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে স্বপরিবারে নিহত হন।
কারা জীবন: বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব গোপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শে.রে. বাংলা এ.কে ফজলুল হককে সংবর্ধনা জানানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৭ মার্চ তিনি গ্রেপ্তার হন। প্রায় ৭ দিন জেল হাজতে বাস করেন।
ইসলামিয় কলেজের দিনগুলো: ১৯৪২ সালে বঙ্গবন্ধু মিশন স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে কলা বিভাগে ভর্তি হন। কলকাতা ধর্মতলার বেকার হোস্টেলে অবস্থান করার সময় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।
জিএস নির্বাচিত: ১৯৪৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী জীবন: পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ৪ জানুয়ারী মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্টা করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারী খাজা নাজিমুদ্দিন আইন পরিষদের বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নেব্ েবঙ্গবন্ধু এর প্রতিবাদ জানান। ২ মার্চ ভাষা প্রশ্নে মুসলিমলীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের এক বৈঠক ফজলুল হক মুসলিম হলে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
১১ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে সচিবালয়ের গেইট থেকে সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি গ্রেপ্তার হন। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে ১৫ মার্চ গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রনেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় মুসলিমলীগ সরকার। ১৬ মার্চ বটতলায় এক ছাত্র সভার আয়োজন করা হয়। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। পরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পরিষদ ভবন ঘেরাও করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। ১১ সেপ্টম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৪৯ সালে ২১ জানুয়ারী বঙ্গবন্দু কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা দাবি দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট ঘোষনা করলে বঙ্গবন্ধু এ ধর্মঘটের প্রতি সর্মথন জানান। কর্মচারীদের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ অযৌক্তিকভাবে তাঁকে জরিমানা করেন। তিনি ঘৃণাভরে এ অন্যায় নির্দেশ প্রত্যক্ষান করেন। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে। ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান মুসলীমলীগ গঠিত হলে তিনি জেলে থাকা অবস্থায় দলের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জুন মাসের শেষের দিকে তিনি জেল থেকে বের হয়ে দেশের বিরাজমান খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেন। সেপ্টম্বর মাসে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে তিনি আবারো গ্রেপ্তার হন।
১৯৫০ সাল: আওয়ামী মুসলীমলীগ ভুখা মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবারে তাঁকে ২ বছর জেলে থাকতে হয়।
১৯৫২ সাল: ৩০ জানুয়ারী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষনা করেন যে“ উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা”। এ ঘোষনার প্রতিবাদে তিনি জেলে থাকা অবস্থায় অনশন পালন করেন। কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবস পালনের সিদ্দান্ত গ্রহণ করে। ২১শে ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ গুলী চালালে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু জেলে থেকে এক বিবৃতিতে ছাত্র মিছলি পুলিশের গুলি বর্ষণের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং অনশন অব্যাহত রাখেন। ২৬ফেব্রুয়ারী তিনি মুক্তি লাভ করেন।
১৯৫৩সাল: ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই তিনি দলের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৪ সাল: ১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের আসনে মুসলিমলীগের প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জমানকে ১৩ হাজার ভোটে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। ১৪মে প্রাদেশিক সরকারের কৃষি ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। ৩০মে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী সভা বাতিল করলে তিনি করাচি থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন। ৩১মে গ্রেপ্তার হন এবং ২৩ ডিসেম্বর মুক্তিলাভ করেন।
১৯৫৫ সাল: ১৯৫৫ সালে ৫ জুন বঙ্গবন্ধু গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২৩ জুন আইন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২১ অক্টোবর দলের বিশেষ কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি প্রত্যাহার করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৬ সাল: ১৯৫৬ সালের ৬সেপ্টম্বর বঙ্গবন্ধু কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।
১৯৫৭ সাল: ১৯৫৭ সালে দলীয় সিদ্দান্ত মোতাবেক বঙ্গবন্ধ মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৫৮ সাল: ১৯৫৮ সালে ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারি হলে ১১ অক্টোবর বঙ্গবন্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ ডিসেম্বর তিনি মুক্তি পান।
১৯৫৯ সাল: দুর্নীতি ও ক্ষমতার অভিযোগ এনে ১৯৫৯ সালের ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩০মে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি মুিক্ত লাভ করেন। আগস্টে সামরিক সরকার ৬ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি নিষিদ্দ করেন। ২২ আগস্ট পুনরায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মামলা দায়ের এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১২সেপ্টম্বর তাঁকে দু বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।৭ ডিসেম্বর মুক্তি লাভ করেন।
১৯৬২ সাল: ১৯৬০ সালে রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে বঙ্গবন্ধু আবারো রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধুকে জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৮ জুন মুক্তি লাভ করেন।
১৯৬৪ সাল: ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারী দলের এক সভায় মাওলানা তর্কবাগীশ সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৪ দিন পূর্বে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৬৬ সাল: ১৯৬৬ সালের ৫ফেব্রুয়ারী লাহোরে বিরুধী দলের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি পেশ করেন। যা ছিল বাঙ্গালী জাতীর মুক্তির সনদ। ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ৬ দফার পক্ষে জনমত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সারা বাংলায় গণসংযোগ সফর শুরু করেন। এসময় তাঁকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বারবার গ্রেপ্তার হন। নারায়নগঞ্জে পাটকল শ্রমিকদের জনসভায় বক্তব্য প্রদানকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ জুন বঙ্গবন্ধু ও আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এবং ৬ দফার সর্মথনে সরাদেশে ধর্মঘট পালন করা হয়।
১৯৬৮ সাল: ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারী পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামী করে ৩৫ জন বাঙ্গালী সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেন। ১৭ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। পুনরায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৬৯ সাল: ৫ জানুয়ারী ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ২২ফেব্রুয়ারী রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্দ্যোগে বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ সংবর্ধনা সভা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু উপাধী ঘোষনা করা হয়।
১৯৭০ সাল: ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু পুনরায় দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগের অধিবেশনে তিনি প্রথম জয় বাংলা শ্লোগানে বক্তব্য শেষ করেন। ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামলীগ নিরষ্কুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করেন।
১৯৭১ সাল: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসি রেসকোর্স ময়দানে এক জনসমুদ্রে এক ভাসন প্রদান করেন। সে ভাসনে তিনি বলেন“ যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুল। বাঙ্গালী জাতীকে শৃঙ্খল মুক্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পূর্বে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপ্রধান করে মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়।
১৯৭২ সাল: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে। ১০ জানুয়ারী তিনি স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন।
১৯৭৫ সাল: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফজরের নামাজের আজান দেয়ার মুহুর্তে দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্মমভাবে খুন হন।
বাঙ্গালী জাতি তাদের স্বপ্নের নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালীকে হারিয়ে হাতাশ হয়ে পড়ে। সদ্য প্রসুত একটি দেশে পিতাহীন মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। পিতার পুরণ হয়নি তার অসমাপ্ত কার্যক্রম। দেশ স্বাধীন করতে পারলেও মুক্তি দিতে পারেনি জাতীকে। সেদিন বিশ্ব বিবেক হতাভাগ হয়ে পড়েছিল। আকাশ, বাতাশ স্তব্দ হয়ে পড়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর।
১৯৭১ সালের রক্তের দাগ না শুকাতে একটি কালো অধ্যায়ের জন্ম দেয় ঘাতক চক্র। সে চক্রটি আজো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা মন্তব্য করে বেড়ায়। নতুন প্রজন্মের ছেলেরা আজ জেগে উঠেছে। ধ্বংস স্তুপের ইতিহাসে দাড়িয়ে সত্যিকারের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা হচ্ছে (সংক্ষিপ্ত)।
তথ্যসূত্র-বঙ্গবন্ধুর হত্যার দলিল।
মন্তব্য করুন