শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স:
শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষের জন্য আধুনিক বিজ্ঞানের উপহার ইনহেলার। বিশ্বব্যাপী হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের রোগীরা এটি ব্যবহার করে চটজলদি কষ্ট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। শ্বাসকষ্টে কি কেবল মানুষই ভোগে? অন্য প্রাণিরাও তো ভোগে। উন্নত বিশ্বে প্রাণিদের জন্যও আছে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা। তারই সর্বশেষ নজির দেখা গেল এবার। যুক্তরাষ্ট্রে শ্বাসকষ্টে ভোগা একটি একটি মেয়ে ভোঁদরের কষ্ট দূর করা হলো ইনহেলার প্রয়োগ করে।এমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি। অবশ্য এজন্য ভোঁদরটাকে রীতিমতো নিবিড় অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এক সময় ‘মিশকা’ নামের ভোঁদরটি শিখেও নিয়েছে শ্বাসের সঙ্গে ইনহেলার ডোজ টেনে নেবার কৌশল।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটল অ্যাকুরিয়ামের বাসিন্দা সে। ভোঁদরটি আগে থেকেই ছিল শ্বাসকষ্টের রোগী।সাম্প্রতিক চলমান দাবানলের কারণে ওর অ্যাকুরিয়ামের আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে ভোঁদরটির শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় আরো। ওর এই কষ্ট দেখে অ্যাকুরিয়ামের একজন প্রাণি-চিকিৎসক ওর কষ্ট দূর করতে এড়িয়ে আসেন। প্রথমে তিনি ওর স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করিয়ে নেন। তিনি দেখতে পান ও আসলে আগে থেকেই হাঁপানি রোগে ভুগছে। তিনি ওর কষ্ট দূর করার উপায় খুঁজতে থাকেন। এক সময় তিনি ভাবলেন, মিশকাকে ইনহেলার ডোজ দিলে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমন কাজ। এরপর তিনি নেমে পড়লেন কাজে।
কিন্তু ভোঁদর তো আর মানুষের বাচ্চা নয় যে বললেই ইনহেলারে ডোজ নেওয়া শিখে ফেলবে। কিন্তু না, তিনি হাল ছাড়লেন না। ‘ইচ্ছে থাকলে যে উপায় হয়’ সেটা প্রমাণ করে ছাড়লেন অবশেষে। অনেক চেষ্টার পর ভোঁদরও শিখে নিল শ্বাসের সঙ্গে ইনহেলার ডোজ টেনে নেবার কৌশল। আর হ্যাঁ, ওকে সেই ইনহেলারই দেওয়া হচ্ছে যেটা দেওয়া হয় মানবশিশুকে।
দরদী ওই প্রাণি চিকিসকের নাম সারাহ পেরি। অ্যাকুরিয়ামের তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সারাহ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করি যতোটা সম্ভব ব্যাপারটাকে ওর কাছে ফান করে তুলতে।’
মন্তব্য করুন