বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

পেকুয়ায় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষিত হয়নি

পেকুয়ায় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষিত হয়নি

অনলাইন বিজ্ঞাপন

মো: ফারুক,পেকুয়া

পেকুয়ায় আসন্ন ৩১ মার্চ ইউপি নির্বাচনের আগাম হাওয়া শুরু হলেও এখনো একক প্রার্থী ঘোষনা করতে পারেনি আওয়ামীলীগ-বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। সর্বশেষ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা বিএনপির উদ্দ্যেগে বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথক পৃথক বর্ধিত সভায় দলীয় একক প্রার্থী মনোনয়নের চেষ্টা করলেও তা সম্পূর্ন ব্যর্থ হয়েছেন। যার কারণে সর্বত্র ইউপি নির্বাচন নিয়ে দুই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে বড় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকারী দলীয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

দলীয় বর্ধিত সভায় ১টা ইউনিয়নেরও একক প্রার্থী মনোনীত করতে পারেনি। একেকটা ইউনিয়নে ৪/৫ জন করে প্রার্থী রয়েছে। ধারস্থ হতে হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ ফেব্র“য়ারী সোমবার একক প্রার্থী মনোনয়নের তালিকা প্রেরণের কথা থাকলেও সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় একক প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। তবে বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ও টইটং ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন দলীয় একক প্রার্থী হিসাবে চুড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি পাঁচ ইউনিয়নে রয়েছে একাধীক প্রার্থী।

জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী সরকার এর অর্ধনে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নৌকা, বিএনপি ধানের শীষ, জাতীয় পার্টি লাঙ্গল মার্কাসহ আরো ছোট বড় কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত দলীয় প্রতীক না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী যে কোন একটি মার্কা নিয়ে সাত ইউপিতে দলীয় একক প্রার্থী ঘোষনা করেছে। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল সদরসহ অন্য ছয় ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্দ্যেগে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদকদের নিয়ে এক রুদ্ধদার বৈঠকে সুরাহা ছাড়ায় শেষ হয়। অভিযোগ ওঠেছে ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি/সম্পাদক এর মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি/সম্পাদক তাদের ইচ্ছেমত তালিকা প্রণয়ন করায় একক প্রার্থী নির্বাচনে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

আরো জানা গেছে, গত ২০ ফেব্র“য়ারী সদর ইউপিতে ৭জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করলে তৃণমূলের ১৮ জন সভাপতি/সম্পাদক এ্যাড:কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কাশেম ও সাংবাদিক জহিরুল ইসলামকে প্রাথমিক বাঁচায় করে। আর এ ৪জনের মধ্যে থেকে যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে একক প্রার্থী হিসাবে ১৪জন মতামত প্রদান করলেও ইউনিয়ন সভাপতি আজম খান ও সম্পাদক বেলাল উদ্দিন তাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ৪জন প্রার্থী লিষ্টভুক্ত করে জেলা কমিটি বরাবর পাঠিয়ে দেয়। ঠিক একই ভাবে বারবাকিয়া, উজানটিয়া, রাজাখালী, মগনামা, টইটং ইউপিতে একাধীক প্রার্থী দেখিয়ে জেলা কমিটির ধারস্ত হয়। তবে শীলখালী ইউনিয়নে ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেছি প্রার্থীতা না করার ঘোষনা দিলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজিউল ইনসান দলীয় একক প্রার্থী হিসাবে রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে ৭ ইউপিতে সদর ও টইটংয়ের বর্তমান চেয়ারম্যানরাই আবারো একক প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ পাচ্ছে। বাকি ৫ইউপিতেও তাদের একক প্রার্থী আগামী ২৬ ফেব্র“য়ারীর ভিতর নির্ধারণ হবে জানান।

বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী সংস্থার দেয়া তথ্য ও এলাকায় জরিপ চালিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে ৭ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ একক প্রার্থী ঠিক করতে পারলে ৬ ইউনিয়নে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে। যদি বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকে তাহলে চরম ভরাডুবি হবে।

উল্লেখ্য:২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী এবং পেকুয়া সদর, শিলখালী, টৈটং-এ বিএনপির প্রার্থী, মগনামায়, বারবাকিয়ায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে কার ভাগ্যে জুটছে চেয়ারম্যানের পদ তা অপেক্ষা করতে হবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM