সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দুর্নীতিতে অীতষ্ট ভূমি মালিকরা

কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দুর্নীতিতে অীতষ্ট ভূমি মালিকরা

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ওয়াহিদুর রহমান রুবেল॥

কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান‘র দুর্নীতিতে অতিষ্ট ভূমি মালিকরা। মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে বিরোধপূর্ণ ভূমির মামলা নিষ্পত্তি না করে অধিগ্রহনের টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিচেছ বলে ভোক্তভূগীদের অভিযোগ। এ অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে ভূমির মালিকরা। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা যায়, বর্তমান সরকার মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে অধিগ্রহণ কৃত ভূমির মালিকদের ক্ষতি পুরণ দিচ্ছে। কক্সবাজার ইনানী থেকে টেকনাফে ১৬৯ একর জমি অধিগ্রহণ ভূমির মধ্যে ২কোটি টাকার বেশি মালিকদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে হস্তান্তরকৃত এসব টাকার ৩০/৪০% টাকা এলআর ফান্ড বলে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে আদায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমানসহ অফিসের অন্যন্য কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ টাকা না দিলে কোন চেক প্রদান করেন না এ কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অফিসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি মাসের ৭ তারিখ তিনি বদলির আদেশ পেয়েও কক্সবাজার অফিসে কাজ করে যাচ্ছেন।

অভিযোক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসক আমাকে ছাড় পত্র দিচ্ছে না বলে এখনো কক্সবাজারে আছি।
তবে ভোক্তভূগীদের দাবি বদলি হওয়ার আগে তিনি লুটপাট করে যাওয়ার মনোভাসনায় এখনো রয়ে গেছেন।

ভোক্তভূগী মুজিবুল হক জানিয়েছেন, গত ৩ জানুয়ারি ১৮৬৫ খতিয়ান থেকে সৃজিত ৩২২১ খতিয়ানের বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা করি। আমার মামলার ভিত্তিতে আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা উক্ত খতিয়ানের সকল কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। অথচ আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ১৩ জানুয়ারি টাকা উত্তোলনের জন্য বিবাদি পক্ষকে চেক হস্তান্তর করে। এতে আমার অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন,মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তিনি এ চেক হস্তান্তর করেছেন।

ইব্রাহীম নামে অপর এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আমাদেরএকটি মামলা ছিল। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি না করে একটি পক্ষকে টাকার জন্য চেক দিয়েছেন এ কর্মকর্তা। পরে ৭ফেব্রুয়ারি চেক বন্ধের দাবিতে আরও একটি লিখিত আবেদন করেছি। না জানি কখন তাও চলে যায়।

শুধু তারা নয় এ রকম শত শত ভূমির মালিক একই অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি দূর্নীতিগ্রস্থ ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান হাতে নি:স্ব হচ্ছে কয়েকশত পরিবার। তাদের দাবি আদালতের আদেশ অমান্য করে কিভাবে চেক হস্তান্তর করেছেন তা বোধগম্য নয়।

জানতে চাওয়া হলে, অভিযোক্ত মাহমুদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কি তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে আপনাদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM