বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

ওয়ার্নার, মার্শের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার জয়

ওয়ার্নার, মার্শের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার জয়

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স:

প্রথমে মনে হলো বেশ সহজেই জিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের ৯৮ সেই পথ করে দেয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস দুই দফা ঝড়ের মুখে পড়লো। অস্ট্রেলিয়ার জয় নিয়ে একটু সংশয় তখন জাগেই। দুই ঝড়েই ছিলো মিচেল স্যান্টনারের হাত। ব্যাট হাতেও নিউজিল্যান্ডকে শেষদিকে ভালো সংগ্রহে পৌঁছেছেন যিনি। কিন্তু দুই পেস অল রাউন্ডার মিচেল মার্শ ও জন হাস্টিংস এরপর দায়িত্ব নিলেন। হতাশ করলেন কিউইদের। দুজনেই অপরাজিত থাকলেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেটা ২১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতলো অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ আনলো সমতা। ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাকে ৯ উইকেটে ২৮১ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের ৬০, নিচে মিচেল স্যান্টনারের দারুণ অপরাজিত ৪৫, অ্যাডাম মিলনের ৩৬, গ্র্যান্ট ইলিয়টের ৩২, মার্টিন গাপ্টিলের ৩১ ও অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ঝড়ো ২৮ রান মিলিয়ে যোগফলটা ভালোই হয়েছে তাদের। এরপর অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার তুললেন ঝড়। ডেভিড ওয়ার্নার মাত্র দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করার হতাশায় পুড়লেন। উসমান খাজা ঠিক ৫০ রান করলেন। কিন্তু ম্যাচ জেতালো মার্শের অপরাজিত ৬৯ ও হাস্টিংসের অপরাজিত ৪৮ রান। স্যান্টনার ৩ উইকেট নিলেন। কিন্তু দুই অল রাউন্ডার সপ্তম উইকেটে ৮৬ রানের হার না মানা জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজে ফেরালো দারুণভাবে। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন ওয়ার্নার ও খাজা। ১৭তম ওভারেই স্কোরবোর্ডে চমৎকার সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলেন তারা। স্যান্টনারের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন খাজা। ম্যাট হেনরি এরপর দুই উইকেট নিলেন। ট্রেন্ট বোল্ট একটি। তাতে ১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দল অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার তখনো ছিলেন। কিন্তু ১৯০ এর ঘরে গিয়ে স্যান্টনারের হাতে জোড়া ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। ৭৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৮ রান করে স্যান্টনারের শিকার হলেন ওয়ার্নার। এক ওভার পরই ম্যাথু ওয়াডে স্যান্টনারের আরেক শিকার। ৬ উইকেটে ১৯৭ রান তখন সফরকারীদের। দোদুল্যমান এক অবস্থা। এই অবস্থায় নিচের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে পারবে তো? সংশয় দুর করলো মার্শ ও হাস্টিংসের জুটি। ওভার প্রতি ৬ এর বেশি রান করেই এগিয়েছে তারা। ওয়ানডেতে মার্শের একটি সেঞ্চুরি আছে। হাস্টিংসের এটাই সর্বোচ্চ। ৭২ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৯ রান করেছেন মার্শ। আর হাস্টিংসের ৪৮ রান ৪৭ বলে, ৫টি চার ও ১টি ছক্কায়। এর আগে নিউজিল্যান্ডের দুই সেট ব্যাটসম্যানকে আউট করে অভিষেকেই চমক লাগিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। অন্য বোলাররা হাত লাগিয়েছেন এই লেগ স্পিনারের সাথে। তাতে কিউইরা আগ্রাসী হতে পারেনি। ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল নিউজিল্যান্ডের। ১২ বলে ৩ ছক্কা ২ চারে ২৮ রান করে বিদায় নিয়েছেন ম্যাককালাম। অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য ভালো ঝড়টা শুরুতেই থামাতে পেরেছেন পেসার বোল্যান্ড। গাপ্টিলও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন ও ইলিয়ট। তাদের ঠেকানো জরুরি ছিল। জাম্পা সেই কাজটি করেছেন। পর পর দুই ওভারে তুলে নিয়েছেন সেট হয়ে যাওয়া এই দুই ব্যাটসম্যানকে। ২০৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তারপরও তাদের সংগ্রহের জন্য অবদান স্যান্টনার ও মিলনের। অষ্টম উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েছেন তারা। সাড়ে সাত গড়ে রানও তুলেছেন। জশ হ্যাজলউড ৪৮তম ওভারে মিলনেকে আউট করে এই জুটিকে থামিয়েছেন। তারপরও লড়ার মতো কিছু করতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুই অল রাউন্ডার তাদের কাছ থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে পরে।

সত্র- কালের কণ্ঠ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM