বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ
টেকনাফ উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এ+ পেয়েছে ১৪৫জন এ পেয়েছে ৫শ ৪২জন। পাশের হার শতকরা ৯৭.৮৮। টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ ইং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ১শ ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১হাজার ৭শ ৪৯জন বালক ও ২হাজার ১শ ২৯জন বালিকা পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন।
তৎমধ্যে বালকের পাশের হার শতকরা ৯৭.৮৮ ও বালিকার পাশের হার শতকরা ৯৬.১০। ফেলের হার বালক শতকরা ৩৭ ও বালিকা শতকরা ৮৩। এ অপূর্ব সাফল্য অর্জন করায় টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আন্তরিক অভিন্দন জানিয়েছেন। এদিকে টেকনাফ উপজেলা মাধ্যমিক স্তরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অপূর্ব সাফল্য এনছে শিক্ষার্থীরা। উপজেলা মাধ্যমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার নুরুল আবছার জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪শ ৮৭জন। পাশ করেছে ৪শ ৮জন। এ+ পেয়েছে ৫৭জন। পাশের হার শতকরা ৯৫। অপর দিকে মাদ্রাসায় জেডিসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫শ ৭২জন। পাশ করেছে ৫শ ৪৩জন। এ+ পেয়েছে ৫জন। পাশের হার শতকরা ৯৫। এ অপূর্ব সাফল্য অতীতে আর হয়নি বলে জানিয়েছে টেকনাফের পরীক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাজ।
এ সাফল্যের পেছনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল আবছার, স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক=শিক্ষিকেরা বলে জানান অভিভাবক মহল। এ সাফল্য যেন ভবিষ্যতে বজায় থাকে তার জন্য এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবক সমাজ, উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি আহবান জানান। অভিভাবক সমাজ আরও বলেন শিক্ষায়-দীক্ষায় অনগ্রসর এ সীমান্ত উপজেলা। এ ছাড়া রয়েছে মরন ব্যধি ইয়াবা। এর কু-ফল থেকে বাচাঁনোর একমাত্র পথ শিক্ষা। এ শিক্ষাকে ধরে রাখতে সকলেরেই আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে বলে সকলের প্রতি আহবান জানান এলাকার সচেতন মহল।
মন্তব্য করুন