বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

টেকনাফ উপকূলীয় বনাঞ্চল ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে

টেকনাফ উপকূলীয় বনাঞ্চল ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ  
সরকার বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে যুগান্তকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা সারা বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে জাতী সংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন ও পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ পদকে ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশে দু-তৃতীয়াংশ উপকূলীয় এলাকা। এ এলাকা গুলো রক্ষার্থে সরকার প্রতিবছর নতুন নতুন বাগান সৃজনের জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় কর্তৃক কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে। যার ফলে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্চাস, বন্যা ইত্যাদিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও যানমাল রক্ষায় ব্যাপক কাজ করে। পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িঁবাধ ভাঙ্গন রোধ করে। টেকনাফ উপজেলার সিংহ ভাগ উপকূলীয় এলাকা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ক্ষয়ক্ষতি রক্ষার জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপকূলীয় বনাঞ্চলে প্রায় দেড় যুগ আগে বনাঞ্চল সৃষ্টি করে ছিলেন। যা কালের বির্বতনে এ বনাঞ্চল গুলো আজ শূণ্যের কোঠায়। কিছু অংশ বনাঞ্চল থাকলেও প্রতিবছর চিংড়ি প্রজেক্টের নামে জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে উক্ত বনাঞ্চল কেটে তৈরী করা হচ্ছে চিংড়ি প্রজেক্ট ও লবণ ক্ষেত। ফলে বিলুপ্ত হতে চলেছে টেকনাফ উপকূলীয় বনাঞ্চল। এ বন রক্ষায় সাধারণ বনাঞ্চলের মত বন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। টেকনাফ একটি রেঞ্জের মাধ্যমে ৪টি উপকূলীয় বিট রয়েছে। রয়েছে একটি রেঞ্জ অফিস। এর তদারকির জন্য রয়েছে একজন সহকারী বন সংরক্ষক। কিন্তু টেকনাফ উপকূলীয় বনাঞ্চল পরিদর্শনে দেখা যায়, উপকূলী ৪টি বিট জনমানব শূণ্য অবস্থায় কালে সাক্ষী হিসেবে কার্যালয় গুলো দাড়িঁয়ে রয়েছে। রেঞ্জ অফিসে মাঝে মধ্যে ২/১জন করে বন মালি অথবা বন প্রহরী দেখা মিলে। দেখা যায় না কোন সময় রেঞ্জ কর্মকর্তাকে । স্থানীয় লোকজন জানায়, এ সমস্ত বিট ও রেঞ্জের বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এলাকায় থাকেনা। মাস শেষে বেতন ভাতাদি নেওয়ার জন্য অফিসে আসে। বেতন ভাতাদি উত্তোলন করে চলে যায়। এ ভাবে দীর্ঘ দেড় যুগ চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কতৃপক্ষের কোন তদারকি নেই বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া উপজেলার বালুখালী হতে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার উপকূলীয় বনাঞ্চল এখন ধু-ধু ,মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে। বড় ধরনের সাইক্লোন, জলোচ্ছাস হলে অত্র এলাকা সমূহের যানমাল রক্ষা করা যেমনি কঠিন হয়ে পড়বে তেমনি হাজার হাজার একর ফসলি জমি, লবণ ক্ষেত ও চিংড়ি প্রজেক্ট সাগরে তলিয়ে যাবে। বিরূপ প্রক্রিয়া সৃষ্টি হবে বন ও পরিবেশের উপর। এ বনাঞ্চল শূণ্য হওয়ায় উপকূলীয় পশু পাখি বিলুপ্ত হতে চলেছে। বিশ্ব জলাবায়ু পরিবর্তনে ৮০ কিলোমিটার উপকূলী বনাঞ্চল নতুন করে সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য বারংবার টেকনাফ উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি বিধায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM