সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া। আজ শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদ এবং শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর সে কথাই তুলে ধরেন।
শমী কায়সার তার বক্তব্যে বলেন, এবারের ১৪ ডিসেম্বরের সকালটা ছিল অন্যরকম। বিএনপি-জামায়াত আমলে যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, কারো কাছেই আর শহীদদের গল্প বলবেন না। এমন সময় গেছে- যখন আমরা শহীদদের সন্তানরা বাবা-মায়েদের কথা বলতে পারতাম না। তাদের কথা বললে নিগৃহীত হতে হতো, নিষ্পেষিত হতে হতো। শহীদুল্লাহ কায়সারের অপ্রকাশিত লেখা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বই প্রকাশ করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
শহীদ সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদ বলেন, ১৪ ডিসেম্বর রায়ের বাজারে মিছিল-স্লোগান নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে বিভিন্ন দাবি তোলা হয়। এসব করার তো অনেক দিবস আছে। নানা ধরনের পোস্টার ছাপানো হয়, অথচ সেখানে শহীদদের ছবি থাকে না। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর খালেদা জিয়া কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন? তিনি নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর বলেন, খালেদা জিয়া বুঝতে পেরেছেন, তাদের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। এ থেকে বাঁচতে মিথ্যাচার করা ছাড়া উপায় নেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজা। বলেন, যুদ্ধে যাওয়ার সময় চাওয়া-পাওয়ার কোনো হিসাব ছিল না। যারা বেশি ত্যাগ করেছিলেন, হয়ত তারা বেশিদিন থাকেন না। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে এখন বিতর্ক তুললেও ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালে কেন প্রশ্ন তোলেননি, তা জানতে চান ফিজা।
কালের কণ্ঠ
মন্তব্য করুন