বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি- ফারুকুল ইসলাম।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামীকে তিনদিনের এবং সৈকতে নারীকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক শ্রীজ্ঞান তঞ্চাজ্ঞাঁ এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সাত্তারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পৃথক মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও আনিসুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে ও সৈকতে নারীকে হেনস্তার ঘটনায় একজনকে ৫ দিন করে পৃথক দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক চিকিৎসকের উপর হামলার সাথে আটক দুইজনকে তিনদিনের এবং নারী হেনস্তার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক একজনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোহাম্মদ সেলিম রেজার ছেলে তাহসিন মোহাম্মদ রেজা (২৫) ও তামিম মোহাম্মদ রেজা (২২)। নারী হেনস্তাকারী ফারুকুল ইসলাম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া চুনতী বড় হাতিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মওলানা আব্দুল মাজেদের ছেলে। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ‘কেএসএম ভিলায়’ বসবাস করছেন।
অপরদিকে কক্সবাজার সৈকতে এক নারীকে হেনস্তার ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গেল ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টায় হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন ডা. সজীব কাজী নামের এক চিকিৎসক। হামলার শিকার সজীব হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও সিসিইউতে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলনে নামে ডাক্তার, নার্স, মেডিকলে কলেজ শিক্ষার্থী এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। পরে সজীব কাজীর দায়ের করা মামলায় দুইজনকে আটক করা হয়। ১১ সেপ্টম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক নারী হেনস্তার শিকার হন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত ফারুকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
মন্তব্য করুন