বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

১০ কেজি স্বর্ণালংকার-নগদ টাকাসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক

১০ কেজি স্বর্ণালংকার-নগদ টাকাসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ছবি-সংগ্রহীত।

 

বিশেষ প্রতিবেদক।।

কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশী নগদ ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪০ টাকা ও মিয়ানমার মুদ্রা ২ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোনসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। সোমবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টেকনাফ পৌরসভা অলিয়াবাদ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেফতাররা হলেন- মিয়ানমার মংডুর সোদাপাড়ার মৃত ইউনুছের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৮) ও একই গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে মো. আনোয়ার (৩০)।

বিজিবি কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা স্বর্ণের বড় চালান এবং মাদকদ্রব্য একটি বাড়ীতে লুকায়িত রেখেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি’ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ব্যাটালিয়ন সদরের একটি টহলদল অলিয়াবাদে সন্দেহভাজন বাড়ীটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে অভিযান চালায়। কিন্তু বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়ীতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন দুইজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল চোরাকারবারীদের দুইটি ব্যাগসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশী নগদ ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪০ টাকা, মিয়ানমার মুদ্রা ২ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখিত চোরাকারবারীদের জানায়- তারা বিভিন্ন সময় মিয়ানমার হতে স্বর্ণালংকার এবং মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে পাচার করে থাকে।

উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশী নগদ টাকা এবং মিয়ানমার মুদ্রা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা করে গ্রেফতার ২ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন মামলা আমরা পায়নি এবং কোন আসামী হস্তান্তর করেনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM