বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

৮দিন পর আহসান মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

৮দিন পর আহসান মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ছবি আহসান হাবিব। সংগ্রহীত।

 

বিশেষ প্রতিবেদক:

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কক্সবাজারে নাশকতা ও গোলাগুলির ঘটনায় দুর্বৃত্তের ছুঁড়া গুলিতে নিহত হয়েছে আহসান হাবিব (২৪) নামে এক কলেজ ছাত্র। ঘটনার ৮ দিন পর ২৬ জুলাই নিহতের পিতা হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৩/৪৯৬।

কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আহসান হাবিব  (২৪) চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আসাদ আলী পাড়ার এলাকার মোঃ হেলাল উদ্দিনের ছেলে ও চকরিয়া ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

মামলায় বাদী দাবি করেন, তার ছেলে নিহত আহসান হাবিব তিন চার বছর ধরে করাবাজার শহরের লালদিঘীর পূর্বপাড় প্রধান সড়কস্থ বিআরবি ক্যাবলস শোরুমে অফিস পিয়ন হিসাবে চাকুরী করছেন। ঘটনার দিন ১৮ ‍জুলাই সন্ধ্যা দুষ্কৃতিকারীরা মিছিল বের করে। এসময় মিছিল থেকে ইট পাটকেল, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলি শুরু হলে সহকর্মীদের নিয়ে আহসান নিরাপদে সরে যাওয়ার সময় একটি গুলি এসে তার গলায় বিদ্ধ হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে আহসান হাবিবের মৃত্যু হয়।

কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে একটি স্বার্থন্বেষী মহল কক্সবাজারে নাশকতা সৃষ্টি করে। এ সময় দুর্বৃত্তদের ছুঁড়া গুলিতে আহসান হাবিব নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে নিহত আহসান হাবিবের পরিবারকে দশ লাখ টাকার সঞ্চয় পত্র এবং ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার (২৮ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ও আহত ৩৩টি পরিবারের সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এসব অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যনারে কক্সবাজারে নাশকতা, পুলিশের উপর হামলা এবং রাজনৈতিক দলের অফিসে ভাংচুরের ঘটনায় হত্যাসহ পৃথক সাতটি মামলা হয়েছে। এ সব ঘটনায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ৭০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM