মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন

হত্যা করে এমপির জামা পরে বেরিয়েছিল কসাই জিহাদ

হত্যা করে এমপির জামা পরে বেরিয়েছিল কসাই জিহাদ

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ছবি : সংগৃহীত

কলকাতার নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। এরপর লাশের টুকরোগুলো ব্যাগেজে করে নিয়ে নিউটাউনের ভাঙড় এলাকার নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

নৃশংস এই হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের বরাতে আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) হিন্দুস্তান টাইমনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপি আনারের দেহ টুকরো টুকরো করার পর তারই টি-শার্ট পরে বেরিয়ে যায় কসাই জিহাদ।

সিআইডি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুন করার পরে রাজারহাটের ফ্ল্যাটে ওই সাংসদের দেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এমপির কাছে থাকা ৪.৩ লাখ টাকা তারা নিয়ে নেয়। এমনকি তার (এমপির) টি-শার্ট পরেই সেই কসাই বেরিয়ে যায়।

মহম্মদ সিয়াম হোসেন নামে এক অভিযুক্ত সেই টাকা নিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে নেপালে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। আর মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

হিন্দুস্তান টাইমনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাই থেকে কসাই জিহাদ হাওলাদারকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বয়স ২৪ বছর। জিহাদ পুলিশকে জানিয়েছে, ১৩ মে সারারাত ধরে এমপির দেহ কাটতে হয়েছিল। কাজ করার সময় তাদের মদ খেতে হয়েছিল। পরের দিন জিহাদ এমপির জামা পরেই বেরিয়ে যায়। কারণ তার জামায় রক্তের দাগ লেগে ছিল।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বিকেল ৩টা নাগাদ ওই সাংসদ ফ্ল্যাটে ঢোকে। তখন তার সঙ্গে ছিল ফয়জল ও শিমূল ভুঁইয়া। মডেল শিলাস্তি রহমান সে সময় ছিল ওপরতলায়।

এমপি হত্যার ঘটনায় শিলাস্তির ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। সূত্র বলছে, খুনের সময় কলকাতায় ছিলেন শিলাস্তি। তবে তিনি সম্ভবত খুনের সময় ওই ঘরে ছিলেন না। শিলাস্তি নিজেও দাবি করেছেন, তিনি এই খুনের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।

খবরে বলা হয়েছে, এই খুনের মূল হোতা আখতারুজ্জামান শাহিন। তার সঙ্গে ওই সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।

সূত্র-কালবেলা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM