শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের মতো কক্সবাজারে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাঝে মাঝে দমকা হওয়া ও বজ্রপাত হলেও কোথাও তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোমবার (২৭ মে) শেষ দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে কক্সবাজারে রিমালের বিপদ কটেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কমিয়ে দেয়া হয়েছে বিপদ সংকেতও। আর যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত প্রাণহানী এড়াতে উপকূলীয় বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। কক্সবাজারে এ পর্যন্ত দশ হাজার বাসিন্দাকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ তোফায়েল হোসেন বলেন, ঘর্ণিঝড় রিমাল এর প্রথমাংশ কক্সবাাজার সমুদ্র বন্দরকে অতিক্রম করেছে। শেষের অংশটি তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারবেনা। তাই আতংকের কিছু নেই। এখন ৯ নং মহাবিপদ সংকেত কমিয়ে কক্সবাজারকে ৩ নং স্থানীয় সতর্কতা সংকতে দেখে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারিবর্ষণের পাশাপাশি জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে রাতের দমকা হাওয়ায় কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাছ ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে কক্সবাজার শহরে জলাবন্ধতা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরকারি কর্মকর্তা নুর হোসেন বলেন, সড়কে গাছ ভেঙ্গে পড়ায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে আটকা পড়ি।
মহেশখালীর আব্দুর রশিদ বলেন, রিমালে কোন ক্ষতি হয়নি। তবে পৌরসভা এলাকায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ছে।
এরআগে কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। উপকূলীয় লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: শাহিন ইমরান বলেন, রিমাল মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রায় দশ হাজার মানুষকে রাতেই আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দমকা হওয়া বইলেও বড় ধরনের কোন ক্ষতির খবর আমরা পায়নি। এছাড়া উৎপাদিত লবন ও বোরো ধানের কোন ক্ষতি হয়নি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলায় ৬৩৮ টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে জরুরি মোকাবিলায় জিআর নগদ দু’লাখ ৭৫ হাজার টাকা, দূর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থাপনা তহবিলের ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ টাকা, ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া দূর্যোগকালীন সময় কাজ করবে ৮ হাজার ৬০০ জন সিপিপি এবং দু’হাজার ২০০ জন রেডক্রিসেন্ট সদস্য।
মন্তব্য করুন