বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

এবার ইসরায়েলকে ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রসহায়তা দিচ্ছে আমেরিকা

এবার ইসরায়েলকে ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রসহায়তা দিচ্ছে আমেরিকা

অনলাইন বিজ্ঞাপন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বোইডেন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

 

ইরান ইসরায়েল হামলা পাল্টা হামলার মধ্যেই ইসরায়েলেকে যেন ভরসা দিল আমেরিকা। ইসরায়েলকে আরও ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের সরকার। এসব অস্ত্রেই গাজায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। মার্কিন অস্ত্রের জোরেই ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো স্থাপনায় হামলা চালানোর সাহস দেখায় তেল আবিব।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও সিএনএন এর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের নতুন অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে।

ওই অস্ত্রচুক্তি অনুযায়ী পেন্টাগনের কাছ থেকে কামান এবং ট্যাঙ্কের জন্য গোলা ও মর্টারের শেল পাবে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। আর এই হত্যাযজ্ঞে নেতানিয়াহু সরকারের পাশে দাঁড়ায় ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্র আমেরিকা। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভর্তি বিমান পৌঁছে গিয়েছিল ইসরায়েলের দক্ষিণ প্রান্তের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে নিয়মিত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে চলেছে বাইডেন সরকার। এমনকি, গাজায় শরণার্থী শিবিরে ধারাবাহিক হামলা এবং ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহেও তা অব্যাহত রয়েছে।

গত ০১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার, (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইসরায়েলে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্যে বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইসরায়েল।

ইসরায়েলে ইরানের সরাসরি এই হামলা ছিল নজিরবিহীন। এই হামলার পর ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানের সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্ফাহান শহরে। ফলে হামলা পাল্টা হামলার জেরে তৈরি হয়েছে যুদ্ধের আবহ। তবে ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার এই সমর্থন নতুন কোনো ঘটনা নয়। ইসরায়েল রাষ্ট্রের গোড়া থেকেই ইসরায়েলি অধিবাসীদের জন্য ‘ত্রাতার’ ভূমিকা পালন করে আসছে আমেরিকা।

সম্প্রতি গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন বাইডেন। নেতানিয়াহুর প্যালেস্টাইন নীতির সমালোচনা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পূর্বসূরিদের পথই অনুসরণ করলেন হোয়াইট হাউসের বর্তমান বাসিন্দা।

সূত্র-কালবেলা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM