মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
মানবপাচার ঠেকাতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও প্রশাসনকে যৌথভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপর তাগিদ দিলেন কক্সবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। তারা বলছেন,সরকার বা এনজি ও কারো পক্ষে তা একক ভাবে বন্ধ করা সম্ভব না। শুধু মাত্র সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই মানব পাচার প্রতিরোধ সম্ভব
বেসরকারি সংস্থা ইপসার উদ্যোগে সোমবার সকালে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ অভিমত প্রকাশ করা হয়। কক্সবাজার বাস টার্মিনাল সংলগ্ন নারকেল বাগান এলাকায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা জানান, নানা কারণে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের কারণে কক্সবাজার একটি নিরাপদ রুট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এতে সরকারিভাবে মানবপাচার রোধে জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি থাকলেও গত ৩ মাসে ওই সভা হয়নি। সভায় উপস্থিত জেলা কমিটির সদস্যরাও বলতে পারেননি কেন এ সভা হয়না। অথচ ্প্রতিমাসে একবার করে সভা সহ নানা কর্মসূচির বাস্তবায়নের কথা এ কমিটির।
ইপসার প্রোগাম ম্যানেজার সিরাজ উদ্দিন বেলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আইওএম’র ন্যাশনাল প্রোগাম কর্মকর্তা আসিফ মুনীর জানান, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার হওয়ার সময় উদ্ধার হওয়া ১৯০১ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনিশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে এসব বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হয়। আরো ৬৯০ জন ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। ফেরত আসা এসব লোকজনকে সামাজিক ও মানষিক বিকাশের সহায়তা করার জন্য কাজ করা প্রয়োজন রয়েছে।
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সানা উল্লাহ জানান, মালয়েশিয়া পাচার হতে গিয়ে ফেরত আসাদের জীবন দক্ষতা অর্জনে তারা বিশেষ প্রশিক্ষনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম জানান, জেলা মসজিদের ইমামদের দ্বারা পাচার থেকে বিতরণ থাকতে নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সভায় সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রিতম কুমার,নবাগত জেলা তথ্য কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন,সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা সহ সরকারি কর্মকর্তা,এনজিও কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন