শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স
বাঙালীর স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু। একদিনের পরিকল্পনায় গড়ে উঠেনি এই সেতু। সেজন্য পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। অনেক ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে তবেই আজ শুরু হয়েছে মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ।
২০০১ সালের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় পদ্মা সেতুর। এরপরই পুরোপুরি বন্ধ সেই সেতুর নির্মাণ কাজ। কেউই এই কাজে অংশ নেয়নি। এরপর ২০০৯ সালে এসে আবারো শুরু হয় পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। ২৯১ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে তখন বিশ্ব ব্যাংক ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার সম্মতি দিয়ে এগিয়ে এসেছিলো। কিন্তু বিধি বাম, ২০১১ সালে ঘটা করে নদীর বুকে বাংলাদেশের বৃহত্তম এই প্রকল্পের ঋণচুক্তি সইয়ের পর ওই বছরই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিশ্ব ব্যাংক। এনিয়ে নানা আলোচনার পর ২০১২ সালের জুনে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করে সংস্থাটি। এরপর সরকারের দেন-দরবারে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে প্রকল্পে ফিরে আসার ঘোষণা দেয় তারা।
কিন্তু দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে আবার গোল বাধলে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে তার আগে যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয় সৈয়দ আবুল হোসেনকে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেয় নিজের টাকায় অর্থায়ন করবে পদ্মা সেতুর। সেক্ষেত্রে নিজেদের রিজার্ভের কথাও তুলে আনেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা থেকেই হয়ে যাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ। সেসময় নিজেদের ৫০০ কোটি ডলার রিজার্ভের মধ্যে থেকে ২৯১ কোটি টাকা দিয়েই পদ্মা সেতু হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
এরপরই ১২ হাজার কোটি টাকায় চার বছরের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনা কোম্পানি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে জমি অধিগ্রহণ করে সেতুর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শুরু হয় মূল সেতুর নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিবেচনা করে সবার ধারণা ২০১৮ সালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মানের এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।
মন্তব্য করুন