বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
বিপিএলের তৃতীয় আসরের ফাইনালে উঠতে শনিবার লড়াইয়ে নামছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। কুমিল্লা মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। রংপুর সাকিব আল হাসানের। কোয়ালিফায়ারের এই ম্যাচ জিতলেই জয়ী দলের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত। আর হেরে যাওয়া দলটির সুযোগ শেষ হয়ে যাবে না। একই দিনে এলিমিনেটর ম্যাচ হবে। এই ম্যাচের জয়ীর সাথে কোয়ালিফায়ারের হেরে যাওয়া দল রবিবার লড়বে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে।
কুমিল্লা ও রংপুরকে প্রায় সমান শক্তির দল বলতে হবে। কারণ, লিগ পর্বে ১০ ম্যাচে ৭টি করে জয় দুই দলেরই। নেট রান রেটে এগিয়ে ছিল বলে ১ নম্বর দল মাশরাফির কুমিল্লা। লিগ পর্বে একে অন্যের সাথে দুটি ম্যাচ খেলেছে তারা। সেখানেও সমতা। প্রথম দেখায় কুমিল্লা জিতেছিল ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। রংপুরকে ৮২ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় দেখায় শোধ নেয় রংপুর। এই ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি কুমিল্লা। ২১ রানে জিতেছিল রংপুর।
দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়ের স্টক ভালো দুই দলেরই। তবে কুমিল্লার আছে ইনজুরি সমস্যা। খোদ অধিনায়ক মাশরাফি হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে। লিগ পর্বের শেষের দিকে বোলিং করেননি। নিয়মিত খেলোয়াড়দের মধ্যে শোয়েব মালিক শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে আন্দ্রে রাসেল, আহমেদ শেহজাদ, আশার জাইদি ও নুয়ান কুলাসেকারা ঠিক আছেন।
রংপুর নির্ভর করতে পারে লেন্ডল সিমন্স, থিসারা পেরেরা, ড্যারেন স্যামি ও মোহাম্মদ নবির ওপর। বোলিংয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ অধিনায়ক সাকিব। এই আসরে ৯ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। অবশ্য তার সাথেই ১৭ উইকেট নিয়ে সমান্তরালে আছেন কুমিল্লার তরুণ পেসার আবু হায়দার রনি। রংপুরের বোলিংয়ে স্পিনে সাকিবের সাথে হাত লাগাতে পারছেন আরেক বাঁ হাতি আরাফাত সানি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট তার।
টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন রংপুরের জহুরুল ইসলাম। ৮ ম্যাচে ১৯৬ রান তার। কুমিল্লার ইমরুল কায়েস ১৯২ রান নিয়ে পরের জায়গাটিতে। এর পর আসে শেহজাদ (১৭৪ রান, কুমিল্লা), সৌম্য সরকার (১৬২, রংপুর), জাইদিরা (১৫৯, কুমিল্লা)। সাকিবও করেছেন ১২৩ রান। ব্যাটে বলে তাই ভালো একটি লড়াইয়ের অপেক্ষায় কুমিল্লা ও রংপুর।
মন্তব্য করুন