বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫০ অপরাহ্ন

টেকনাফ উপজেলায় বিচারিক আদালত না থাকায় চরম দূর্ভোগে জনগণ

টেকনাফ উপজেলায় বিচারিক আদালত না থাকায় চরম দূর্ভোগে জনগণ

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ  

সু-দীর্ঘ ২৪ বছর পর্যন্ত বিচারিক আদালত না থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের লোকজন। গত ১৯৯১ সালে টেকনাফ উপজেলার বিচারিক আদালতকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। বিগত এরশার সরকারের আমলে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় টেকনাফ উপজেলায় বিচারিক আদালত স্থাপন করা হয়। ফলে উপজেলার লোকজন আর্থিক ও শারিরিক ভাবে লাভবান হয়েছিল। আদালদ চলে যাওয়া সীমান্ত উপজেলার লোকজনদেরকে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে সব চেয়ে বিপদে রয়েছে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত লোকজন।

এসমস্ত লোকজন বেশী ভাগই মামলার শিকার হয়, অর্থের অভাবে ও অপরদিকে অর্থশালী ও বিত্তশালীদের অত্যারের। ভোক্তভূগী মামলার বাদী ও বিবাদীগণ জানায়, টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার মামলার সংখ্যা অত্যাধিক। ইহা সীমান্ত এলাকা হিসেবে এলাকার লোকজন বেশীর ভাগই চোরা চালানী ব্যবসার সাথে জড়িত। এখানে কোন হের ফের হলেই চোরাই পণ্য সহ আটক হয়। ফলে হয় মামলা।

সূত্রে জানায়, টেকনাফ থানায় প্রতিমাসে প্রায় ১শ হতে ১শ ৫০টির মতো বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক মামলা হচ্ছে। এতে গড়ে আসামী হচ্ছে ২শ হতে ৩শ জন। এ মামলার মধ্যে বেশীভাগই মাদক দ্রব্য মামলা। এর পর রয়েছে মানব পাচার ও নারী ও শিশু নির্যাতন। জেলার সব চেয়ে টেকনাফ উপজেরায় মামলার সংখ্যা বেশী। এ সমস্ত মামলার বাদী বিবাদীদেরকে মামলায় হাজিরা দিতে প্রতিদিন কক্সবাজার আদালতে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গিয়ে যেমনি সময় অপচয় হচ্ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে প্রচুর অর্থ। মামলার তারিখ আসলেই এক দিন পূর্বে চলে যেতে হচ্ছে আদালত পাড়ায়। মামলার দিন টেকনাফ থেকে পাড়ি জমিয়ে মামলায় হাজির দেওয়া সম্ভব হয়না। মামলা হাজিরা দিতে গিয়ে সামর্থক ব্যক্তিগণ এক দিন পূর্বে যেতে পারলেও কিন্তু অর্থের অভাবে সাধারণ লোকজন পারেনা।

সকাল বেলায় রওনা দিলে টেকনাফ কক্সবাজার সড়কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক চেক পোষ্ট সমূহে তল্লাশী চালিয়ে যেতে যেতে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়ে পড়ে। ফলে মামলার হাজির হতে না পারায় ওয়ারেন্ট হয়ে যায়। বিবাদীরা হয় ফেরারী। তখন ওয়ারেন্টের কপি থানায় পৌছলে পুলিশ এদেরকে ধরতে অভিযান শুরু করে। এরা  পুলিশ থেকে বাচঁতে অনেক বিবাদী এলাকা ছেড়ে দেশান্তর হয়ে পড়ে। দূর্ভোগে পড়ে তার পরিবার পরিজন। বিগত ১৯৯১ সালে সেই সময়কার জোট সরকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিচারকি আদালত প্রত্যাহার করে নিলেও জেলার মহেশখালী ও চকরিয়ায় উপজেরার আদালত বহাল রেখেছেন। যা এখনো পর্যন্ত কার্যক্রম চলেছে। অথচ কক্সবাজার সদর থেকে মহেশখালীর উপজেলার দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার ও আর চকরিয়া উপজেলার দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। এ সমস্ত উপজেলার জনগণের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিচাররিক আদালত বহাল রেখেছেন। কিন্তু টেকনাফ উপজেলার দূরত্ব কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৯০ কিলোমিটার অদূরে হওয়ার পরও বিচারিক আদালত কেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে টেকনাফ বাসির প্রশ্ন। তাই টেকনাফের মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত লোকজন পুনরায় টেকনাফ উপজেলায় বিচারিক আদালত স্থাপন করে জনদূর্ভোগ লাঘবে আইন মন্ত্রী ও প্রধান বিচার প্রতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM