শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী,পেকুয়া.
পেকুয়ায় পাউবোর পরিত্যক্ত ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ওই স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। এসময় উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়া এলাকার চিংড়ি চাষীরা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন টিমকে তারা জানিয়েছেন বিছাখালীতে কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত একটি পরিত্যক্ত ভবন ছিল। ওই ভবনটি স্থানীয় চিংড়ি চাষী ও সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আহমদ গুড়িয়ে দিয়েছেন। ৫১নং স্লুইসগেইটের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য তৎকালীন চট্টগ্রাম মহাকুমা পাউবো ৬০’র দশকে খালাসি ভবন হিসেবে সে সময় স্থাপন করেন। বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুকিপুর্ণ অবস্থানে দন্ডায়মান ছিল। সেটি গুড়িয়ে দিয়ে ওই ব্যক্তি ভবনের ইট, লোহাসহ দ্রব্যদি লুট করেছেন। এমনকি তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এসব নির্মাণ সামগ্রী পাচার করে নিজস্ব চিংড়ি ঘেরে পানির উৎস সৃষ্টির জন্য পৃথক একটি পলবোর্ড তৈরি করেন।
তারা জানিয়েছেন, ৫১নং স্লুইস গেইট বিছাখালী দারাঘোনা, পুরাতন ঘোনা ও বৈশাঘোনাসহ করিয়ারদিয়ার বিপুল এলাকায় পানির উৎস বিদ্যমান ছিল। এর পানি থেকে শুষ্ক মৌসুমে হাজার হাজার একর জমিতে লবন উৎপাদন হয়ে আসছিল। একইভাবে বর্ষার সময় একই জমিতে মৎস্য চাষের জন্য পানির মুল যোগান হচ্ছে ওই স্লুইস গেইট। গত এক সপ্তাহ আগে কাউকে অবহিত না করে জাফর মেম্বার সরকারি এসম্পদটি ধ্বংস করেছেন। মৎস্য চাষীরা ওই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন কারো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে একটি সার্বজনীন সরকারি সম্পদ ধ্বংস করার এ অপরাধ অবশ্যই ক্ষমার অযোগ্য। আমরা এর ক্ষতিপুরনসহ ওই ব্যক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে গত ৪ডিসেম্বর সকালে পাউবোর উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে কক্সবাজারের পাউবোর বদরখালী এরিয়া শাখার পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি বিছাখালী পরিদর্শন করেছেন। এসময় ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার স্বপক্ষে প্রায় ২০/৩০জন স্থানীয় মৎস্য ও লবন চাষী উপস্থিত থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তবে ওই কর্মকর্তার নাম জানা যায়নি। চিংড়ি চাষী নাছির উদ্দিন, মিন্টু, সৈয়দ আহমদ, জিয়াবুল হক জিকুসহ অনেকে জানিয়েছেন, করিয়ারদিয়ার মানুষকে জিম্মি করতে জাফর মেম্বার পাউবোর ভবন ভেঙ্গে ইট নিয়ে নিজস্ব পলবোর্ড তৈরি করেছেন। আমরা তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়েছি।
এব্যাপারে উজানটিয়া ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য সিরাজুল মোস্তফা পরিদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন পরিত্যক্ত পাউবোর ভবনটি জাফর মেম্বার ভেঙ্গেছে। তবে তিনি পাউবো থেকে অনুমতি নিয়ে ভেঙ্গেছেন বলে জাহির করেছেন জাফর মেম্বার। আদৌ আমরা যেটি নিশ্চিত হয়েছি তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেটি গুড়িয়ে দিয়েছেন।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে আছি। এবিষয়ে পরে কথা বলা হবে।
মন্তব্য করুন