বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন

ঘুমধুম কুমির প্রজনন কেন্দ্র হতে পারে পর্যটন বিনোদন স্পট

ঘুমধুম কুমির প্রজনন কেন্দ্র হতে পারে পর্যটন বিনোদন স্পট

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ছবি-প্রজনন কেন্দ্রে কুুমিরের বাচ্ছা।

 

 

 

মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ।।

বান্দরবান নাইক্ষংছড়ি ঘুমধুম সিমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে উঠা কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি হতে পারে পযর্টনদের বিনোদন ও আকর্ষণীয় স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি ভবিষ্যতে পর্যটন স্পট হতে পারে।

তথ্য মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কুমিরের প্রজন্ম কেন্দ্র টি পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ২৫ একর পাহাড়ি জমিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ খামার গড়ে তোলে ২০০৮ সালে। বাণিজ্যিকভাবে সেখানে কুমিরের চাষ শুরু হয় ২০১০ সালে। কুমিরের এ খামারটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কাছাকাছি ঘুমধুম পাহাড়ি এলাকার তুমব্রু গ্রামে অবস্থিত। পূর্ব পাশে পাহাড়ী ও সামন্য ঢালো জায়গার উপর প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম ভাবে পরিবেশ সম্মত উপায়ে তৈরী এই কুমির প্রজনন কেন্দ্র এখন বৃহত্তর এশিয়ার অন্যতম কুমির প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। এ গ্রামটি মিয়ানমার সীমান্তের একেবারে কাছে। খামারের পাহাড় থেকে দেখা যায় মিয়ানমারও। বর্তমানে ওই খামারে কাজ করছেন দুজন প্রকল্প কর্মকর্তার অধীনে ২০ জন কর্মচারী। কুমির প্রজনন কেন্দ্র এখন বৃহত্তর এশিয়ার অন্যতম কুমির প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। যা কুমির রপ্তানী করে প্রতি বছর কোটি টাকা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। এ স্থানটি হতে পারে পযর্টক ও স্থানীয়দের জন্য বিনোদন কেন্দ্র। ছুটির দিনে প্রাকৃতিক সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারেন যে কেউ।

এ বিষয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক রবীন্দ্র ঘোষ বলেন,কুমির রপ্তানি আশার আলো দেখাচ্ছে। এ খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার।

এর আগে ২০১০ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে ৫০টি অস্ট্রেলীয় প্রজাতির কুমির আনা হয়। এর একেকটির দাম পড়ে ৩ লাখ টাকা। পরে নাইক্ষ্যংছড়ির ওই খামারের উন্মুক্ত জলাশয়ে সেগুলো ছাড়া হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৪টি কুমির। ৪৬টি সুস্থ কুমিরের মধ্যে পরে স্ত্রী কুমিরের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ ও পুরুষ ১৫-তে। সেই ৪৬টি কুমির থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ওয়াইল্ড লাইফ ফার্মে বর্তমানে বাচ্চাসহ ছোট-বড় কুমিরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০০-তে। খামারে উন্মুক্ত জলাশয় ও খাঁচার ভিতর- দুই ভাবেই কুমির রাখা হয়েছে। প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, এসব কুমির প্রায় ১০০ বছর বাঁচে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM