মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি আব্দুর রহমান।

 

আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দু রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। ১৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-০২/২৩।

মামলায় আব্দু রহমানের বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৯ হাজার ৭৯৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়ার পাশাপাশি ১ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার ১৩ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ আয়ের অভিযোগের এ মামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন। একই সাথে মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাও আমলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আবদুর রহমান (৩৭) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদের ছেলে, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহর ছোটভাই এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিহাদের বড়ভাই। আব্দুল্লাহ এবং জিয়া দুইভাই আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী।

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর ই/আর নং-৪০/২০১৭ অভিযোগের ভিত্তিতে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান করে দুদক। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১২ মার্চ সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে। এসময় তিনি ( আব্দু রহমান) আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে কারাগারে আটক ছিলেন।

একই বছর ২৪ মার্চ (মাদক মামলার আসামী হিসেবে কক্সবাজার কারাগারে আটক) উক্ত আদেশ গ্রহণ করেন এবং ৩১ মার্চ সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন আব্দুর রহমান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ৭ কার্য দিবস সময় বৃদ্ধি করার পর ১১ এপ্রিল জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুদক’র কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। ১৬ এপ্রিল সম্পদ বিবরণী গ্রহণ করে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইবাচাই করে ২৩,০৯,৭৯৫ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গোপন করে দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা এবং ১,০৪, ০২,০১৩ টাকা অসংগতিপূর্ণ আয় ভোগদখলে রেখে ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অবস্থায় ১২ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান এর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন করার পর ১৮ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন।

জানতে আব্দু রহমানকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোন কেটে দেন। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায় নি।

দুদক কক্সবাজার জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন মামলার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, এখন আবারো তদন্ত হবে। তদন্তের সময় আটকের প্রয়োজন হলে তা-ই করা হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM