বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

‘রিমন আজ তোমার জব আছে ঘরবাড়ি আছে কিন্তু আমি নেই’

‘রিমন আজ তোমার জব আছে ঘরবাড়ি আছে কিন্তু আমি নেই’

অনলাইন বিজ্ঞাপন

 

 

 

প্রথমে প্রেম পরে বিয়ে। এক সময়ের বেকার স্বামী  রিমন এখন চাকুরি করে উপার্জন করছেন। কেটেছে তার বেকারত্ব। আর এ সময়ে এসে স্ত্রী রিমাকে ছেড়ে দিতে চান স্বামী রিমন। স্বামীকে নিয়ে স্ত্রী রিমার আবেগঘন স্ট্যাটাস। পাঠকের সুবিধার্থে তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো:-

 

রিমন! আজ তুমি টাকা ইনকাম করছ তাই বলতে পারতেছ যত টাকা লাগুক আমাকে ছেড়ে দিবা। কিন্তু তোমার সাথে যখন আমার সম্পর্ক ছিল তখন কিন্তু আমি তোমার টাকা দেখে সম্পর্ক করেছিলাম না।

০২-০৩-২০২০ তুমি আমি সম্পর্ক করেই দুইজনের মতামতে বিয়ে করেছিলাম। কাউকে না জানিয়ে।আর তুমি নিজেই তোমার বাড়িতে জানাতে নিষেধ করেছিলে। তখন কিন্তু আমি একবারো ভাবি নি যে, তখন তোমার জব ছিল না, তুমি বেকার, এমনকি তোমার থাকার জন্য ঘর ছিল না, বাবা মার সাথে এক রুমে ঘুমাইতা,নয়তো বা চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘুমাইতে।

কখনো ভাবি নি তোমার কিছু নেই, আমি কেন তোমাকে বিয়ে করবো!? সব সময় ভেবেছি তোমাকে ভালোবাসি তুমি গাছ তলায় রাখলেও গাছ তলায় থাকবো তাও তোমার সাথে থাকবো। আর আজ তুমি টাকা আয় করতে শিখে সেগুলো ভুলে গেলে।

আজ তোমার জব আছে ঘরবাড়ি আছে কিন্তু আমি নেই। যখন তোমার ঘর বাড়ি ছিল না জব ছিল না তখন আমি তোমার সব ছিলাম।

মনে আছে তোমার সিরাজগঞ্জ থেকে যখন তুমি রাজশাহীতে আমার সাথে দেখা করতে আসতে তোমার হাত খরচটাও আমি দিতাম! ফোন খরচ টাও আমি চালাইতাম! নিজের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে তোমার জন্য ছোট ছোট গিফট কিনতাম তোমাকে খুশি করার জন্য। আচ্ছা তুমি না বলতে আমি তোমার সব! তাহলে তুমি কেমন করে পারলে এমন টা করতে! সত্যিই কি আমি তোমার প্রিয়জন ছিলাম নাকি শুধুই মাত্র প্রয়োজন।?

মনে আছে তোমার!আমার সাথে সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় সিরাজগঞ্জে সাথী নামের অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল তুমি! যেটা সবকিছু আমি জানতাম, কিন্তু তোমাকে বলতাম না, তুমি লজ্জা পাবে তাই! নিজের মানসিক যন্ত্রণায় মরে যেতাম তারপরও আমি তোমাকে কিছু বলতাম না।

তারপর ওই মেয়ে যখন তোমার থেকে শুনলো তোমার ঘর বাড়ি নাই ,তোমার চাকরী নাই, কিছু নাই ,ওই মেয়ে তোমার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে বসলো। তারপর তুমি নিজের থেকে আমার কাছে ক্ষমা চাইলে। বললে সেটা নাকি তোমার ভুল হয়ে গেছিল,আর কখনো তুমি সেসব করবা না,এখন থেকে নাকি শুধুমাত্র তুমি আমাকে ভালোবাসবে। এসব বলে তুমি আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলে। আমিও ভেবেছিলাম যে তুমি হয়তো তোমার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছ।এটা বয়সের দোষে করেছো।

আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। আমারা আবার সম্পর্ক সব ঠিকঠাক করে নিলাম। তারপর তুমি আমার বাড়িতে এসে আমাদের সম্পর্কের কথা বললে,তোমাদের বাড়িতে বললে, তোমার বাড়ি থেকে ৩১-১২-২০১৯ এ এসে ভাইয়া ভাবি তুমি আমাকে আন্টি পরিয়ে গেলে। তোমার বাড়ি থেকে একটা কথা ছিল তোমার জবের আগে বিয়ে হবে না। এখন শুধু এনগেজমেন্টই হবে।  কিন্তু তুমি যখন রাজশাহীতে থাকা শুরু করলে, তখন তোমার চাহিদা অন্যরকম হয়ে গেল।তুমি নিজে গিয়ে আমার বোনকে বললে আপু আমাদের বিয়ে পড়িয়ে দেন।

আবার পারিবারিকভাবে যখন বিয়ে করে উঠিয়ে নিয়ে গেলে, তখনো তোমার কত তাড়া, আমিও বলেছিলাম আরো মাস খানেক পরে ডেট করো না হয়, তুমি বললে আমাকে ছাড়া তোমার নাকি ভালো লাগে না থাকতে, তাই নিজের ইচ্ছায় তুমি ০২-১১-২০২১ তারিখ ডেট করলা। আমিও মেনে নিলাম। অথচ সেই তুমি এখন কত মিথ্যা কথা বলতেছ!

DPS তুমি নিজের ইচ্ছায় করলে, আবার এটাও বললে যে তোমার ভুল হয়েছে আরো এক বছর আগে করতে হতো। সে তুমি কেমন করে বলো যে ডিপিএস আমি তোমাকে বাধ্য করে করাইছি!!
বললে খালি গলায় আমাকে ভালো লাগেনা, চেন কিনে দিলা, বাড়িতে বলতে তুমিই নিষেধ করলা, অথচ এখন এসে বলতেছ আমি মিথ্যা বলতেছি।

তোমার মনে আছে!! গত বছর কোরবানি ঈদের আগে তুমি যখন বাড়িতে আসলা, তার ঠিক ১১ দিন আগে তুমি রাজশাহীতে আসছিলা, আমি রাজশাহীতে ছিলাম। রাজশাহীতে এসে তুমি ছয় দিন ছিলা। আমি তোমাকে আসতে নিষেধ করেছিলাম এখান থেকে যাবার পর,এগারো দিন পরে তো বাড়িতে আসবা কষ্ট করে আসার দরকার নাই।

তাও তুমি আসছিলা রাজশাহীত। যে ৬ দিন রাজশাহীতে ছিলা, সে ছয় দিন বাড়িতে কথা বলেছ কিন্তু তুমি একবারও বল নাই যে তুমি রাজশাহীতে আছো, তুমি রাজশাহীতে থেকেও বাড়িতে বলেছ যে তুমি উখিয়ায় আছো।
রাজশাহীতে এসে তুমি আমাকে দুইটা ড্রেস কিনে দিলা। যেখানে তুমি রাজশাহীতে থেকেও বলেছ তুমি উঠিয়াই আছো, সেখানে আমি তোমার বাড়িতে গিয়ে কেমন করে বলতাম যে তুমি রাজশাহীতে এসে আমাকে দুইটা ড্রেস কিনে দিস।
এখন তুমি বলতেছ যে তুমি ড্রেস কিনে দিয়েছো আমি মিথ্যা বলেছি।

তোমার বাড়ির লোকজন তোমার একার মুখেই সব শুনে গেল, আমাকে একবার জিজ্ঞেস করে প্রয়োজন বোধ করল না। হাতে কোরআন শরীফ নিয়ে সব কথা বলতাম যে আসলে আমি সত্যি বলছি না মিথ্যা বলছি।

আচ্ছা তোমার মাকে কি সত্যিই আমি লাথি মারছিলাম?নাকি আমি বাসে উঠবো না বলে জড়াজড়ি করতে গিয়ে আমার পা তার গায়ে হঠাৎ করে লেগে গিয়েছিল! আর তার জন্য আমি তোমার মার, তোমার বাবার, তোমার, পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম।যেটা ভুলবশত তার গায়ে আমার পা লেগে গেছে, অথচ সেই তুমি কেমন করে বল যে আমি তোমার মার পেটে লাথি মারছি!!!
আচ্ছা কোনদিন কি তোমার ফ্যামিলিকে অসম্মান করেছিলাম? তোমার বাবা-মা ভাই ভাবি কাউকে!??

এত মিথ্যা তুমি কেন বললে আমার নামে। পৃথিবীতে আর কেউ না জানুক এগুলো কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা তুমি আমি আর আল্লাহ তো জানে।

যেখানে আমি তোমাকে বলতাম টাকা গুছিয়ে বাড়িতে টাকা দাও, সেখানে তুমি কেমন করে বাড়িতে গিয়ে বললে যে আমি বাড়িতে টাকা দিতে নিষেধ করি।

এত মিথ্যা বলতে কি তোমার একটুও খারাপ লাগে নি!

আচ্ছা তুমি তো আমাকে ভালোভাবেই বলতে পারতে যে এখন আর আমাকে তোমার ভালো লাগে না।এখন তোমার অন্য কাউকে ভালো লাগে।

এত মিথ্যা বদনাম না দিয়ে এমনিতেই তো ছাড়তে পারতা। বলতেই পারতে আমাকে,এখন তোমার অন্য কাউকে ভালো লাগে।

 

https://www.facebook.com/jannatul.ferdousrima.1481/posts/


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM