বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

ডুলাহাজারায় নিরহ ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আসামী করার অভিযোগ

ডুলাহাজারায় নিরহ ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আসামী করার অভিযোগ

অনলাইন বিজ্ঞাপন

মোস্তফা কামালঃ

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের অদূরে পাগলীর বিল এলাকায় সড়কের পার্শ্বে মজুদ করে রাখা বালির স্তুপ থেকে নয়নমনি(১০) নামে ৩য় শ্রেণীর শিশু ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার মামলায় প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত না করে নিরহ ২ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার ১২দিন পর ছাত্রীটির মা ইউনিয়নের পাগলীর বিল এলাকার মৃত জাফর আলমের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় গত ২৬ নভেম্বর ২জনের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এতে আসামী করা হয় একই এলাকার মৃত মোঃ হোসেন প্রকাশ মধু এর পুত্র কুতুব উদ্দিন কাইছার (২০) ও নুরুল কবিরের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২১) কে। মামলাটি খুনের ঘটনার ১২ দিন পর একটু দেরীতে হলেও মামলা হওয়ার ৫দিন আগেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহ জনক ভাবে কুতুব উদ্দিন কাইছারকে আটক করে। বর্তামনে কাইছার কক্সবাজার জেলে কারাবন্দী রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীরা জানান, সন্দেহ জনক ভাবে আটক হওয়া কাইছার ১জন বেকারীর নাস্তা সেল্স ম্যান। ওই দিন কাইছার সহ আরো ১জন প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিনও টমটম গাড়ি নিয়ে পার্শ¦বর্তী লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন  বাজার ও দোকানে নাস্তা সেল্ দিয়ে নিয়মমত চলাচলের ওই রাস্তা দিয়ে চলে আসে। ঘটনার দিনেও তারা ওই রাস্তা দিয়ে চলে আসছিল।

এতে কাইছার ঘটনা জানবেন বলে বাদী ধারণা করেছেন। একইভাবে মামলার অপর আসামী তৌহিদুল ইসলামের বাবা নুুরুল কবিরের দাবী উক্ত এলাকায় তাদের ১টি দোকান রয়েছে। ঘটনার দিন তার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম উক্ত দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে ছিলেন। এতে তার নিষ্পাপ ছেলেকে এ ধরণের জগণ্যতম খুনের ঘটনায় ফাসানো হচ্ছে বলে তিনি দাবী তুলেছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে এলাকার সচেতন মহলের দাবী, শিশু ছাত্রী নয়নমনি খুনের ঘটনায় প্রকৃতভাবে যারাই জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। এতে যেন কোন নিরহ ব্যক্তি হয়রানি না হয়।

উল্লেখ্য গত ১৪ নভেম্বর ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাগলীর বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী নয়ন মনিকে খুঁজা খুঁজির পর এ দিন রাতে তার ১ মামা বিদ্যালয়ের অদূরে চারা বটতল এলাকার সড়কের পাশে বালুর স্তুপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে একই এলাকার কুতুব উদ্দীন কাইছার ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দয়ের করেছেন। এ ঘটনায় তৌহিদ ও আটক হওয়া কাইছার তারা ২ জনই নিরহ বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তাদের ২ পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM