সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
ছবি-সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। উপস্থিত আছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল।
ওয়াহিদ রুবেল।।
ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া এবং টেকনাফ। ৯ আগস্ট ২৪৯টি পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ তিন উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: জাহিদ ইকবাল। সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ৯ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলার ৮টি উপজেলায় ৭২৫টি পরিবারের মাঝে মুজিববর্ষের ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন করবেন। যেখানে পেকুয়া, টেকনাফ এবং উখিয়ায় রয়েছে ২৪৯টি পরিবার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এ তিনটি উপজেলা শতভাগ গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য উপজেলাকেও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির ১৬ জুলাই এ ৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। আমরা আশা করছি আগামী ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী এ তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন।
তথ্য মতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে “‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, গৃহহীন থাকবে না একটি পরিবার’ এ প্রতিপাদ্যে ভূমিহীন ও গ্রহহীনদের মাঝে ঘর নির্মাণ করে দেয় সরকার। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে মোট ৪৮৫৫ টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে চিহ্নিত করে প্রথম পর্যায়ে ৮৬৫, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৫৮, তৃতীয় পর্যায়ে ১৪৬৩, চতুর্থ পর্যায়ে ৮৬০ পরিবারকে মুজিব বর্ষের ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। আগামী ৯ আগস্ট আরো ৭২৫ টি পরিবারের মাঝে তুলে দেয়া হবে মুজিববর্ষের ঘর।
জেলা প্রশাসক মুুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও অনন্য দৃষ্টান্ত যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। সরকার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে শুধু ভূমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদান করছেনা, একই সাথে নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে মানবসম্পদ ও পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার।
মন্তব্য করুন