বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

অতিরিক্ত বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান

অতিরিক্ত বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি।

 

 

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সব রাজনৈতিক দল, সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন। অতি প্রয়োজন ছাড়া পুলিশকে বলপ্রয়োগ না করার আহ্বানও জানায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল।

আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস নোটে এ তথ্য জানায়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, কয়েক মাসে বিরোধীদের বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। পুলিশ সেখানে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার সুযোগ দিতে হবে। এ ছাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষ জনগণের সেই অধিকারকে দমন করতে চাইলে, তাদের অধিকার রক্ষায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

জেরেমি লরেন্স বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু আগামী বছরের জানুয়ারিতে একটি সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরা সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ব্যালট সম্ভব হয়।

প্রেস নোটে তিনি বলেন, বিরোধীদের বেশ কয়েকটি সমাবেশে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের ব্যক্তিদের প্রতিবাদকারীদের দমনে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট, লোহার রডসহ নানা ধরনের বস্তু ব্যবহার করতে দেখা যায়। এসব ঘটনায় বিরোধী দলের সমর্থকদের পাশাপাশি কিছু পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ বিরোধী নেতাদেরও প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়। সমাবেশের আগে ও সমাবেশকালে বিরোধী দলের শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, কেবল জরুরি প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রিতভাবে বল প্রয়োগ করা যেতে পারে। যদি করতেই হয়, বৈধতা, সংযমের ভিত্তিতে এবং যৌক্তিক কারণ সাপেক্ষে তা করতে হবে।

অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টি অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র-কালেরকণ্ঠ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM