শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি-নিহত সালমান।
শেখ রাসেল, টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার দক্ষিণ ফুলের ডেইল এলাকার জনৈক হেলালের দোকানের পাশে বসে মদ্যপান করছিল জাফরসহ কয়েকজন। তার মদ খাওয়ার দৃশ্য নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেছে সালমান (২৪)। এমন ধারণা থেকে সালমানকে ছুরিকাঘাতে খুন করে জাফর। বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
নিহত সালমান কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্র ও হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমোরা পাড়ার মাওলানা আব্দুল খালেকের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন, হ্নীলা দক্ষিণ ফুলের ডেইল এলাকার মৃত পেঠান আলীরে ছেলে মোহাম্মদ আলম (২০), তার ভাই শামসুল আলম (১৯)এবং সাবের আহমদের স্ত্রী ও প্রধান অভিযুক্ত জাফর আলমের শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম (৩৫)।
নিহতের পিতা আব্দুল খালেক বলেন, যেস্থানে আমার ছেলেকে খুন করা হয় সেস্থান দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আনেন তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। এবং সেখানে বসে নিয়মিত মদ্যপান ও ইয়াবা সেবন করে তারা। যেদিন মায়ানমার থেকে ইয়াবা আনা হবে সেদিন উক্ত স্থানে কাউকে থাকতে দেননা এ চক্রটি। ঘটনার দিনও এ বাহিনীর সদস্যরা দোকানের পাশে বসে মদ পান করছিল। এক পর্যায়ে দোকানে থাকা সকলকে তাড়িয়ে দেয় জাফর প্রকাশ মাইক জাফল। কিন্তু আমার ছেলে সালমান চলে না যাওয়ায় এবং মোবাইলে তার মদ্যপানের ভিডিও ধারণ করেছে এমন কথা বলে তর্ক করতে থাকে। তাদের মধ্যে এক প্রকার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাফরের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পথিমধ্যে আমার ছেলে মৃত্যুবরণ করেন। আমি খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২ আগস্ট (বুধবার) রাত ১০ টার দিকে হেলালের দোকানে কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় একই ইউনিয়নের ফুলের ডেইল গ্রামের জাফর আলম (ওরফে মাইক জাফর) এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে উপর্যুপরি সালমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে জাফর। গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে ঢলে পড়লে সালমান।
নিহতের ভাই বলেন, হামলাকারীদের ধারণা করেছিল আমার ভাই তাদের মধ্যপানের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেছে। তাই তারা আমার ভাইকে ভিডিও ডিলেট করার অজুহাত তুলে খুন করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দীন মজুমদার জানান, এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন