শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
ছবি সংগ্রহীত।
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ২২ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থী ফারিহা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে হ্নীলা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ মাদরাসার পেছন অংশে পানি চলাচলের ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে এ মাদরাসায় নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তো।
এ ঘটনায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার মুফতি আলী আহমদের ছেলে ইমরাকে (১৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
হত্যার শিকার ফারিহা আক্তার (৯) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড মৌলভী বাজারের ছানা উল্লাহের মেয়ে।
গ্রেফতারের পর ইমরান র্যাবের কাছে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন।
তার বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, নাস্তার প্রলোভন দেখিয়ে ফারিহাকে একটি কক্ষে নিয়ে যায় ইমরান। সেখানে তাকে মাদ্রাসার তিনজন ছাত্র ধর্ষণ করে। শিশুর যৌণাঙ্গ থেকে রক্ত বের হলে ভয়ে তাকে হত্যা করে মাদ্রাসার পেছনে একটি ড্রেনে লাশ ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে নিহত শিশুর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মুক্তিপণ দাবিকারীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
ফারিহার মা জেসমিন আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফারিহা হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া তার বড় আম্মার বাড়ি থেকে বাসায় ফিরছিল। পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে অপহরণ করে। পরে আমার মোবাইলে কল করে মুক্তিপণ হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। এঘটনায় রাতে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ্নীলা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ মাদরাসার ভেতর একটি ড্রেন থেকে মেয়ের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। ফারিয়া এ মাদরাসার নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, অপহৃত শিক্ষার্থী ফারিহার মরদেহ মাদরাসার পেছনে পানি চলাচলের ড্রেনে পাওয়া যায়। এ ঘটনার মূল হুতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন