বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
ছবি-শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের অভিযানের সময়। ভিডিও থেকে নেয়া ছবি।
সাইফুল ইসলাম।
কক্সবাজারের টেকনাফে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে অপহরণের রেশ কাটতে না কাটতে ৫০ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই রোহিঙ্গা ও দিনমজুরসহ ৬ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ জুলাই) থেকে শুক্রবার (২১ জুলাই) পর্যন্ত পৃথক সময়ে তাদেরকে অপহরণ করা হয়।
সর্বশেষ শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে লেদা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬ এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হন শালবাগান ক্যাম্প-২৬ ব্লক এ/৪ হাকিম আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (১৮) ও টেকনাফ নয়াপাড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে হাসান মিস্ত্রি (৫০)। যদিও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন পুলিশ।
স্থানীয় মো: রাশেল নামে এক যুবক বলেন, শালবাগান ক্যাম্প সংলগ্ন ফকিরাবাদ নামক এলাকায় পাহাড়ে অবস্থিত পানি সাপ্লাই মেশিন মেরামত করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তারা। পরে পুলিশের সাথে স্থানীয় লোকজন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে অপহৃতদের ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
সাইদুল ও হাসান মিস্ত্রী ছাড়াও অপহৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ৬ নম্বর ওয়ার্ড মিনাবাজারের জামাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন আরফাত (২১), একই এলাকার নুর কামালের ছেলে মোহাম্মদ নুর (২২), খারাংখালির সোনা আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩০) ও লেদা ২৪ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-সি/৩ এর আমির হোসনের ছেলে সৈয়দ হোসেন (৫০)।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও ক্যাম্প মাঝি সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৯ জুলাই) বিকালের দিকে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে দিন মজুর মোহাম্মদ ইয়াসিন আরফাত ও মোহাম্মদ নুরকে কল করে কাজের কথা বলে টেকনাফ নিয়ে যায়। অপহরণের একদিন পর তাদের বাড়িতে কল করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
একই দিন, খারাংখালি এলাকার মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের বিষয়ে ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ২৪ ঘণ্টা পর ভুক্তভোগীর নম্বর থেকে বাড়িতে কল করে বলা হয়, তাকে খুব মারধর ও নির্যাতন চালাচ্ছে অপহরণকারীরা, তার জন্য টাকা পাঠাতে।
আরেক অপহৃত রোহিঙ্গা সৈয়দ হোসাইন কাজের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হলে তিনিও বাড়িতে আর ফেরত আসেনি। পরে তার পরিবারের কাছে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারে কাজ করছি। এখনো পুলিশের কয়েকটি দল পাহাড়ের ভেতর অভিযানে রয়েছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন