বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় সড়কে পিকআপ চাপায় ৬ ভাই নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চালক সাইদুল ইসলামকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে চকরিয়া থানার ১৫ নং মামলায় (জিআর-৫৫/২২) মোট ৩৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ (রবিবার) বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্বে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পেয়ে এ রায় দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৮ ফেকব্রæয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় বাবার শ্রাদ্ধ উপলক্ষ্যে ৯ ভাই-বোন শ্মশানে পূজা দিতে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দিপক সুশীল, চম্পক সুশীল, স্বারক সুশীল নিহত হন। পরে আহত আরেক ভাই রক্তিম শীল ২২ ফেব্রæয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতদের ভাই পল্লব সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেন (মামলা নং-১৫/২২)। মামলার তদন্তভার প্রথমে হাইওয়ে পুলিশকে দেওয়া হলেও পরে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আলাদা দুটি মামলায় হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামী করা হয় পিকআপ ভ্যান চালক সাইদুলকে। ঘটনার চারদিন পর ১২ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরে অভিযান চালিয়ে পিকআপভ্যান চালক সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে র্যাব।
পিপি বলেন, মামলাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় দ্রুত বিচারিক কার্যক্রমে শেষ করা হয়। সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুসারে বিজ্ঞ আদালতের কাছে এটি হত্যাকান্ড হিসেবে এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
রায় ঘোষণাকালে আসামি সাইদুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করে মামলার বাদী পল্লব সুশীল বলেন, নিহত ভাইদের আর ফিরে পাবো না। একসাথে ছয় ভাই হারানোর কষ্ট বলার মতো না। সরকারের পক্ষ থেকে ঘর করে দিয়েছে ভাইদের পরিবারে। সহযোগিতাও পাচ্ছি। তবে দ্রæতই বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।
মন্তব্য করুন