বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি।
আরব সাগর থেকে তেড়েফুঁড়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। অতিশক্তিশালী রূপ নেওয়া ঘূর্ণিঝড়টি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আঘাত হানতে পারে ভারতের উপকূলে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরই মধ্যে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিন রাজ্যে।
ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ পূর্ব-মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে অবস্থান করছে। যা ভারতের মুম্বাই থেকে মাত্র ৮৭০ কিলোমিটার দূরে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, আরব সাগরের তীরবর্তী মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং গোয়াতে এই ঝড়ের প্রভাব সবেচেয়ে বেশি পড়বে। এসময় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, কেরালা, দক্ষিণ কর্নাটক, মণিপুর, মিজোরাম, আসামসহ বিভিন্ন প্রদেশে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব আগামী ৩-৪ দিন থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় হতে পারে বজ্রপাতও।
ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়বে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকূলে। আগামী ৩-৪ দিন সাগরের মধ্যে হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১৩৫-১৪৫ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। গুজরাতের মৎস্যজীবীদের ১৪ জুন পর্যন্ত আরব সাগরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এরই মধ্যেই গজরাটের উপকূলবর্তী ২২টি গ্রামের ৭৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। আবহাওয়াবিদদের একাংশের অনুমান এই ঘূর্ণিঝড় মূলত গুজরাট উপকূলেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সাইক্লোন মোকার গতিবেগকেও হার মানাতে পারে আরব সাগরে উৎপন্ন বিপর্যয়। এর গতি হার মানাতে পারে আমফান এবং ফণীকেও।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এই সাইক্লোনের গভীর প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের করাচিতেও। বর্তমানে করাচি থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়।
গেল মাসে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা। তুলনামূলক বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও তাণ্ডব চালায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি- সেখানে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে মোখার তাণ্ডবে। তবে কোন তথ্যই প্রকাশ করেনি দেশটির ক্ষমতায় থাকা জান্তা সরকার।
সূত্র-কালবেলা।
মন্তব্য করুন