বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে মামলা

চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

 

 

একটি মামলায় গেল ১৬’মে আদালতে মুছলেকা দিয়ে জামিনে আসেন উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। এ বিতর্কের ১২দিনের মাথায় এবার আবদুর রহিম নামে যুবকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১জুন) কক্সবাজার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী এবং ইউপি সদস্য মো: শাহজাহানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী আব্দুর রহিম। মামলা নং-৬০৫/২৩। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৩০/৪০। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত দিয়েছে। আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ইমরুল হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরীর ছেলে এবং মো: শাহজাহান ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মৃত আব্দুল জলিল সওদাগরের ছেলে।

মামলার বাদীর দাবি, গেল ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করায় তার উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালিয়ে আসছিল চেয়ারম্যান ইমরুল। সর্বশেষ গেল ২৯’মে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য শাহাজাহানের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ফলজ ও বনজ গাছপালা কেটে ফেলে। এসময় পুকুরের মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও মামলা নেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে আজ (১জুন) আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

আরো পড়ুন-বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটে করেছে চেয়ারম্যান ইমরুল-দাবি ভূক্তিভোগী পরিবারের।

আবদুর রহিম ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজী আব্দুল খালেকের ছেলে।

তিনি বলেন, ২৯’মে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে হঠাৎ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর নেতৃত্বে ইউপি সদস্য শাহ জাহানসহ ৩০/৪০ জন দুর্বৃত্ত আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী সন্তানদের টেনেহেঁচড়ে বের করে টিনশেড বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করে। আমি বারবার নিষেধ করলে উল্টো আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে আমার উপরও হামলা চালায়। আমার স্ত্রী আহত হন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহাব উদ্দিন বলেন, আমরা বিজ্ঞ আদালতে ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ সকল সচিত্র তথ্যউপাত্ত্য দেখিয়েছি। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত দিয়েছে। আগামী ধার্য্য দিনের আগে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন-মুছলেখায় জামিন পেলেন হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস

এরআগে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক রুমখাঁ আলী পাড়ার মৃত আলী আহমদের ছেলে সোলতান আহমদকে নির্মম মারধর করেন চেয়ারম্যান ইমরুল। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গেল ১৬’মে মুছলেকা দিয়ে জামিনে পান চেয়ারম্যান।

ভূক্তভোগী জসিম আহমদ নামে আরেক যুবক জানিয়েছেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী নৌকার পক্ষে ভোট করা লোক দেখে দেখে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পুরো ইউনিয়নটা যেন তার রাম রাজত্ব চলছে। তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধ পরিবার, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম এবং ব্যবসায়ীরা। তার মনপুত না হলে নাগরিক সুবিধাও দেননা চেয়ারম্যান।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM