বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
আজ শনিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা মাঠে বিদ্যুৎবিহীন বাড়িতে সোলার হ্যাজাক লাইট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “গত সাত বছরে আমারা সেই বিদ্যুৎ ১৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি। আরো বিদ্যুৎ আসছে ভূটান, নেপাল এবং ভারত থেকে। একই সঙ্গে আমরাও দেশে পারমাণবিক ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছি। তাই খুব শিগগির ফেরিওয়ালার মতো বিদ্যুতের লোকদেরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, “যারা আজ দেশে হত্যা, হানাহানি, বোমাবাজি, জঙ্গিবাদের পক্ষে কাজ করছে, তারা চায় বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যাতে দেশটাকে সাজাতে না পারেন। দেশে জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা চেয়েছিলেন খালেদার ছেলে দেশে ফিরে আসুক। আবার লটুতরাজ শুরু করুক। দেশটা জাহান্নামে যাক। তাঁর ছেলে কারি কারি টাকা কামাক। আল্লাহ জালিমের দোয়া কবুল করে না, মজলুমের দোয়া কবুল করে। বেগম জিয়া আপনার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।”
মতিয়া চৌধুরী বলেন, “এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার আমলে জ্ঞানের আলো পেয়েছে। জানুয়ারির ১ তারিখে আমরা ছেলে-মেয়েদের হাতে বই পৌঁছে দিচ্ছি। তাও তাদের ভাল লাগেনি। বিজি প্রেসে আগুন দেওয়া হয়েছে। তার পরও আমরা বই পৌঁছে দিয়েছি। যোগাযোগ খাতে প্রভূত উন্নতি হচ্ছে। কৃষি কাজে আসছে ব্যাপক সফলতা।” তিনি রসিকতা করে বলেন, “মুন্সীগঞ্জে আর কৃষি কাজ থাকবে না। মুন্সীগঞ্জের এ অঞ্চল হয়ে যাবে শহর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন এ অঞ্চলকে হংকংয়ের মতো শহরে পরিণত করবেন।”
লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওসমান গনি তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক হুইপ ও স্থানীয় এমপি অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফকির আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশিদ সিকদার প্রমুখ।
সূত্র-কালের কণ্ঠ
মন্তব্য করুন