রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
ওয়াহিদ রুবেল।।
পাত্রী দেখতে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ গিয়ে নিখোঁজ হবার ২৫ দিন পর ৩ বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) বিকেলে টেকনাফের দমদমিয়া গহীন পাহাড় থেকে র্যাব এবং পুলিশের দুইটি টিম গলিত তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলো অপহৃত তিনবন্ধুর বলে দাবি তাদের পরিবারের।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ ও সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তারা তিনজনই বন্ধু। এ ঘটনায় রাতে র্যাবের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল তাদের অপহরণের পর পরিবারের কাছে মারধরের ভিডিও পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু অসহায় পরিবার টাকা দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অপহরণকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ৩ বন্ধু চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া থেকে সিএনজি যোগে টেকনাফ রওনা দেয়। পথি মধ্যে টেকনাফ পৌঁছার আগেই তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল ডাকাত ইমরান, ইউছুপ, রুবেলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর দুইদিন পর তাদের হাত পা বেঁধে উপর্যপুরী নির্যাতন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায় পরিবারের কাছে। তখন বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। এই ঘটনায় একজনকে কিছুদিন আগে আটক করে র্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তি মত উদ্ধার অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, টেকনাফস্থ দমদমিয়া চেকপোষ্ট এলাকার তিনটি পাহাড়ের পরের গহীন বন থেকে তিনজনের গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহগুলো সুরতাহল প্রতিবেদন তৈরির জন্য টেকনাফ থানায় নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের লাশ ময়নাতদন্তে জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হবে।
অপহৃত ইউসুফের ছোট ভাই মো. ইউনুছ সন্ধ্যা ৭টার দিকে বলেন, আমরা টেকনাফ থানায় রয়েছি। লাশ এখনো থানায় আনা হয়নি।
এদিকে, অপহরণের ২৫ দিনপর ছেলে ইমরানের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে জেনে মা হামিদা বেগম বিলাপ করে বলেন, আমার ছেলে অপহরণ হয়েছে জানতে পেরে এক থানা থেকে অপর থানায় গিয়েছি। টেকনাফ থানার ওসি পা ধরে অনুরোধ করেছি, কিন্তু কোন সুরাহা দেয়নি পুলিশ। এখন যে অভিযান চালানো হয়েছে, অপহরণের পরপরই তা চালানো হলে আমার ছেলে ও তার বন্ধুরা হয়তো বাঁচাতো।
এবিষয়ে জানতে টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিমের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করার পরও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানোর পরও সাড়া না পাওয়ায় ওসির বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন