বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

পেকুয়ায় জামায়াত-শিবির আতংক

পেকুয়ায় জামায়াত-শিবির আতংক

অনলাইন বিজ্ঞাপন

মো: ফারুক

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জামায়াত-শিবির মূর্তিমান এক আতংকের নাম। সারা বাংলাদেশে প্রশাসনের দক্ষ কৌশল ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কাছে তারা পরাস্ত হলেও ইতিমধ্যে তাদের রণকৌশল ও জঙ্গি তৎপরতায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলার স্বীকার হয়ে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। এমনকি তারা মিছিল ও হামলার পরিকল্পনার গোপন কৌশল বৈঠকের মাধ্যমে আগে থেকে করে থাকলেও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ ও থানা প্রশাসনের অগোচরেই রয়েছে। যার কারণে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা হচ্ছে সফল।

এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা হচ্ছে তবে তাদের দূর্বল অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারেরা পার পেয়ে যাচ্ছে সহযেই। এ রকম কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযানের কথা বলা হলেও আটকের খাতা শূন্যই রয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতে ইসলাম ও তাদের সহযোগি সংগঠন ছাত্র শিবির মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধীতাকারী একটি জঙ্গি সংগঠন। পেট্রোল বোমা মেরে গাড়ি পুড়ানোসহ মানুষ হত্যা করতে তাদের মেলাভার। বিগত ১বছর আগে পেকুয়া পূর্ব গোয়াখালীর ইদ্রিস নামের এক নিরহ লোককে পেট্রোল বোমার আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় আরো ৩জন গুরুতর আহতও হয়েছিল। ঠিক এরপর পেকুয়ায় এক সরকারী কর্মকর্তার বাসভবনে জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠক হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদটি প্রচার হলে কিছুদিন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা নিরবতা পালন করে। এরপর আবারো মূর্তিমান আতংক হয়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা আ.ক.ম শাহাবউদ্দিন ফরায়েজীকে নির্মমভাবে হত্যা, টইটং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক চৌধুরীকে হত্যার চেষ্টা, সর্বশেষ টইটং হাজ্বি বাজারে একটি জঙ্গি মিছিলসহ হামলা চালিয়ে আহত করে টইটং সভাপতি এনাম সম্পাদক মো: বাচ্চু মিয়াসহ আরো ৩জনকে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা পেকুয়া উপজেলা শিবিরের সভাপতি উখিয়া এলাকার মফিজুর রহমানকে আটক করে পুলিশে দেয়। কিন্তু এরপর পুলিশ নাশকতার অভিযোগে উপজেলা জামায়াতের নেতা ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মনজুসহ আরো ১০জনকে আসামী করে মামলা রুজু হলেও ১জন ছাড়া আর কোন নেতাকে পেকুয়া থানা পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, পেকুয়ায় জামায়াত-শিবির পরিচালিত পেকুয়া প্যান ইসলামী হাসপাতাল, মডেল কেজি স্কুল এন্ড কলেজ, আকতার ভিলা নামের একটি বাসাসহ আরো কয়েকটি স্থানে গভীর রাতে তাদের গোপন বৈঠক হয়। আর ওই বৈঠকে সম্ভাব্য মিছিল ও হামলার করণীয় নির্ধারণ করেন জামায়াত-শিবিরের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা। আর ওই মিছিল ও হামলার ঘটনায় আর্থিক বিষয়টিও ওঠে আসে। এমনকি পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের এক নেতার সাথে জাপানের ইসলামিক মিশন নামের বাংলাদেশের একটি সংগঠনের যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনও হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিরা আতংক হয়ে জানিয়েছেন, সারা বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশের ঝটিকা অভিযান ও আসামীদের আটক করলেও পেকুয়া প্রশাসনের এ ক্ষেত্রে নিস্ক্রিয়তা রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটা ঘটনা ঘটলেও জামায়াত-শিবির রয়েছে সম্পূর্ন নিরাপদ। কেন এ রকম হচ্ছে তা ভাবিয়ে তুলছে পেকুয়াবাসীকে। তারা ওই সমস্ত অপরাধীকে ধরতে পুলিশ প্রশাসনের জোরদার অভিযান ও তাদের প্রতিষ্টানগুলোতে গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারী বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে জোরদাবী জানিয়েছেন।

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) জানিয়েছেন, টইটংয়ের ২টি ঘটনায় নাশকতাকারী জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা রুজু হয়েছে আটক করা হয়েছে শিবিরের সভাপতিকে। বাকীদের আটকের চেষ্টা অব্যহত আছে  । জামায়াত-শিবিরের কোন নাশকতাকারী পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাবেনা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM