বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০২ অপরাহ্ন
ছবি-আলোকিত কক্সবাজার।
রকিয়ত উল্লাহ, মহেশখালী
শনিবার দুই দফা ঝড়ে মহেশখালীতে লবন চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে কোটি টাকার লবণ। এতে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন প্রান্তিক চাষিরা। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াধীন লবণ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
হঠাৎ কালবৈশাখী বাতাস আর ঝড়ের তোড়ের মুখে মাঠ ছাড়ছেন চাষীরা। তাই লবণ মাঠে কাউকে দেখা যায়নি।
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তরনলবিলা গ্রামের লবণ চাষি কাশেম বলেন, মাঠে প্রচুর লবণ ছিল। গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে সব লবণ ভেসে গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর আবার লবণের মাঠ তৈরি করতে মাঠে নামলে কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে লবণ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) বলছে, দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকারী অঞ্চল কক্সবাজারের ৮ উপজেলা মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, ঈদগাঁও, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার আংশিকসহ ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে এবার লবণ উৎপাদন শুরু করে চাষিরা। তবে গত মৌসুমের চেয়ে এবার বাড়তি তিন হাজার একর জমিতে উৎপাদন বেড়েছে।
বিসিকের তথ্যমতে, বিগত মৌসুমে সরকার লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ২৩ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তখন উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৯৩১ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
বিসিক কক্সবাজারের লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া জানান, আমদানি না হওয়ায় লবণ চাষিরা দুই বছর ধরেই ভালো দাম পেয়ে আসছেন। বর্তমানে শতভাগ জমিতে আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করায় উৎপাদন আড়াই গুণ বৃদ্ধি পায়। লবণের গুণগত মানও বেশ ভালো। দামও ভালো পেয়ে থাকেন চাষিরা। বৃষ্টিতে লবণ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি থেমে গেলে পুনরায় মাঠে নেমে লবণ উৎপাদন করে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন