শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
মোস্তফা কামালঃ
চকরিয়ার ডুলাহাজারায় বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভর করছে ৩ শতাধিক পরিবারের চলাচল। প্রতিদিন উক্ত সাঁকোতে দূর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। উন্নয়ন বঞ্চিত এ এলাকার মানুষ দ্রুত এর সমধান দাবি করেছেন সরকারের কাছে। যদি আসন্ন বর্ষা মৌষুমের আগে কাটাখালী খালের উপর কাঠের সেকোটির পরিবর্তে তারা ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের অবেহেলিত এবং উন্নয়ন বঞ্চিত ১টি গ্রামটি হচ্ছে পূর্ব ডুমখালী। দেশের সরকার পরিবর্তন হচ্ছে প্রতি ৫ বছর পর পর। কিন্তু বরারই উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে এ গ্রামের জনসাধারণ। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। তাছাড়া প্রতিবছর উক্ত সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দূর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধরনের। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যুগ যুগ ধরে পূর্ব ডুমখালী গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে উক্ত সাঁকো দিয়ে।
স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ১২-১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুকি নিয়ে নড়-বড়ে সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে থাকে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলাচলের জন্য প্রতিবছর নিজেদের টাকায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও বর্ষাকালে পাহাড়ী ঢলের পানির স্রোতে সাঁকো বার বার ভেঙ্গে যায়।
এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে কোনরকম পার হই খালটি পার হওয়া গেলেও বর্ষাকালে তাদের স্কুল মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
স্কুল ছাত্র আহাসানুল হাসান ও জুবাইয়েরা বেগম নামে দুই শিক্ষার্থী জানান, বর্ষাকালে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে থাকি। এতে বারবার দূর্ঘটনা ঘটছে। এর আগে সাঁকো থেকে পড়ে অনেকে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ১জন ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র নদীতে পড়ে নিখোঁজও হয়েছিল।
গ্রামটির জনসাধরণের দাবী বার বার উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাটি যেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, চকরিয়া উপজেলা এল.জি.ই.ডি প্রকৌশলীর এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারী অনুদানে সেতু নির্মাণ করতে স্থানীরা লিখিত আবেদন করতে পারে। এর পর বিষয়টির ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন