বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে প্রত্যাশার চেয়ে লবন উৎপাদন বেশি

কক্সবাজারে প্রত্যাশার চেয়ে লবন উৎপাদন বেশি

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি।

 

কক্সবাজারে প্রত্যাশার চেয়ে লবন উৎপাদন বেশি হওয়ায় উচ্ছ্বাসিত চাষিরা। তবে দাম উঠানামা নিয়ে চাষীদের মাঝে কিছুটা সঞ্চয় দেখা দিয়েছে।

লবণ চাষি জানায়, এরই মধ্যে লবণের উৎপাদন একর প্রতি ৭০০ মণ অতিক্রম করেছে। বৃষ্টিপাতের কারণে দুইদিন উৎপাদন বন্ধ থাকলেও এখন পুরোদমে আবারো উৎপাদন শুরু হয়েছে।

লবণ চাষি সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক সাজেদুল করিম জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে লবণের লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি উৎপাদন হবে। লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হওয়ায় চাষিরা আগ্রহ করেই লবণ উৎপাদনে আরো মনোযোগী হয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে চাষিরা প্রতিমণ লবণে পাচ্ছেন খরচ বাদ দিয়ে ৩৮০ টাকারও বেশী।

বিসিকের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন লবণের চাহিদাকে ঘিরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার টেকনাফ, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, মহেশখালী, চকরিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। গত মৌসুমে কক্সবাজারের ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৩ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। এবার প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন বাড়ছে, এ কারণে উৎপাদনও বাড়বে। চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের চাইতে অধিক লবণ উৎপাদিত হয়েছে।

বিসিকের কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল জানান, বিগত সময়ে প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হলেও চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষের জমি ও চাষীর সংখ্যা বেড়েছে। আশা করি, লবণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কোন সমস্যা হবে না। বর্তমানে যতটুকু আশা করিনি তার চাইতে বেশি লবণ উৎপাদিত হয়েছে।

সূত্র-দৈনিক কক্সবাজার।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM